ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নায়েব আলী জোয়ারদারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। গত ২ এপ্রিল ঢাকায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ বৈঠকে আওয়ামী লীগের খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক প্রতিমন্ত্রী এমপি আব্দুল হাই, তৈয়ব আলী জোয়ারদারসহ ঝিনাইদহ জেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে তার বিরুদ্ধে নেয়া মৌখিক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়, একই সাথে আওয়ামী লীগ নেতা নায়েব আলী ভুলত্রুটির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ভবিষ্যতে সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ড না করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
প্রসঙ্গত, গত দশম সংসদ নির্বাচনে নায়েব আলী জোয়ারদার দলীয় মনোনয়ন না পেলেও আব্দুল হাইয়ের বিপরীতে স্বতন্ত্র সংসদ নির্বাচন করেন, যা সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডের মধ্যে পড়ে। ফলে জেলা আওয়ামী লীগ তাকে দলের পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে।
জানা গেছে, পাঁচটি সিটি করপোরেশন, উপজেলা নির্বাচন ও দশম সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময়ে বহিষ্কৃত নেতাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করতে শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলের কার্য নির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এরই মধ্যে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে সাধারণ সম্পাদক বরাবর আবেদন করতে শুরু করেছেন নামমাত্র বহিষ্কৃত নেতারা। এর ভিত্তিতে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে বলে দলীয়সূত্রে জানা গেছে। স্ব স্ব বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার সংক্রান্ত জটিলতার নিরসন করছেন।
ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাই জানান, নায়েব আলী জোয়ারদারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের ব্যাপারে ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়েছে। সেখানে মৌখিকভাবে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সাথে ওই নেতাকে ভুল ত্রুটি শুধরে নিতে বলা হয়েছে।
শৈলকুপা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নায়েব আলী জোয়ারদার জানান, জেলা আওয়ামী লীগ তাকে মৌখিকভাবে বহিষ্কার করেছিলো। গত ২ এপ্রিল ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
নায়েব আলী জোয়ারদার ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এদিকে নায়েব আলী জোয়ারদারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের খবরে মাঠ পর্যায়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে স্বস্তি দেখা গেছে। এতে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা।