মেহেরপুর অফিস: যিশু মৃত্যুবরণ করেননি তিনি পুনরুত্থান হয়েছেন। যিশু পুনরুত্থান করে মৃত্যুঞ্জয়ী হয়েছেন সূর্যের মতো স্নিগ্ধ জ্যোর্তিময়তায়। তিনি পুনরুত্থান করে অন্ধকার পৃথিবীকে নব আলোয় আলোকিত করেছেন। মানুষকে সন্ধান দিয়েছেন নতুন জীবনের। এই বিশ্বাসকে বুকে ধারণ করে খ্রিস্টীয় ধর্মাবলম্বীরা প্রতি বছরের এদিনে পালন করেন স্টার সানডে।
যিশু ক্রুশের ওপর মৃত্যুবরণ করে তৃতীয় দিনে তিনি পুনরুত্থান করেছেন। মানুষের পাপের জন্য যিশু ক্রুশ বিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন, তাকে সমাধি দেয়া হয়। তৃতীয় দিনে তিনি পুনরুত্থান হয়ে কবর থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। তিনি মুত্যুকে জয় করলেন, পরাজিত করলেন পাপময় অপশক্তিকে, মানুষকে অন্ধকার পথ থেকে নিয়ে আনলেন আলোর পথে। এ বিশ্বাস থেকে বিশ্বের খ্রিস্টীয় বিশ্বাসী গণের ন্যায় মেহেরপুরের খ্রিস্টীয় সম্প্রদায় গতকাল রোববার যিশু খ্রিস্টের পুনরুত্থান উৎসব আনন্দের সাথে উদযাপন করেছেন। রাত থেকে চার্চগুলোতে চলে প্রার্থনা। চার্চের ফাদাররা মনে করেন, আত্মীয়স্বজন যারা মারা গেছেন তাদের মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করছেন খ্রিস্টীয় ধর্মাবলম্বীরা। সবাই সবার মঙ্গল কামনায় কাজ করবেন, সেবার প্রসারতা বাড়াবেন, পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করবেন, বিশ্বাস ও ক্ষমা সহকারে একে অন্যকে গ্রহণ করবেন, প্রার্থনার জীবন গড়ে তুলবেন খ্রিস্টীয়রা।