গাংনী প্রতিনিধি: শুক্রবার রাতে এক সংঘর্ষের খবর পেয়ে মেহেরপুর গাংনী শহরে অভিযানে নামে র্যাব। এ সময় ব্যবসায়ী ও কয়েকজন ক্রেতা লাঠিচার্জের শিকার হন। প্রতিবাদে রাত থেকে মাঠে নামেন ওষুধ ব্যবসায়ীরা। গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় বৈঠকের পর অবশ্য বিষয়টি মীমাংসার দিকে গড়ায়।
গাংনী কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক গোলাম মোস্তফা জানান, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে হঠাৎ ১০-১২ জন র্যাব সদস্য বাজারে ঢুকে লাঠিচার্জ শুরু করেন। মণ্ডল সুপার মার্কেটের রতন ফার্মেসির সামনের কয়েকজন ক্রেতা লাঠিচার্জের শিকার হন। রতনের দোকানটি বন্ধ করার নির্দেশ দেন র্যাব সদস্যরা।
একই মার্কেটের সামনে বসে নেতাকর্মীদের নিয়ে মুজিবনগর দিবস উদযাপনের প্রস্তুতি সভা চলছিলো বলেন উপজেলা যুবলীগ সহসভাপতি ওয়ার্ড কাউন্সিলর নবীর উদ্দীন। তিনি জানান, নেতাকর্মীদের কয়েকজন লাঠিচার্জের শিকার হন। রাতেই বিষয়টির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের শাস্তি দাবি করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক।
ওষুধ ব্যবসায়ী লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে গতকাল সকালে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে উপজেলা কেমিস্ট্র অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির নেতৃবৃন্দ প্রতিবাদ সভায় মিলিত হন। সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি নুরুল হুদা। বক্তব্য রাখেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফাসহ নেতৃবৃন্দ। সভায় ঘটনার বর্ণনা দেন রতন ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী রতন। প্রতিবাদসভায় উপস্থিত হয়ে একাত্ম প্রকাশ করেন গাংনী পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী, বিশিষ্ট আ.লীগ নেতা হাজি মহসিন আলী, ওয়ার্ড কাউন্সিলর নবির উদ্দীন, গাংনী বাজার কমিটির সভাপতি হাজিফুর রহমান মানিক ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান স্বপন। নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ওষুধ ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম, আবুল বাশার, বাবু সরকার ও মন্টু মিয়া। ঘটনার বিচার দাবিতে দোকান বন্ধ রেখে কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়।
পরে তারা র্যাব ক্যাম্পে র্যাব কমান্ডার এএসপি নূরুজ্জামানের সাথে বৈঠক করেন। নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত হন গাংনী থানার ওসি আকরাম হোসেন। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ ও অভিযুক্ত র্যাব সদস্যকে প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতিতে আন্দোলন স্থগিত করেন ব্যবসায়ীরা।