গাংনীতে ছাত্রদল নেতা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা দায়ের

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার চরগোয়ালগ্রামের হাসানুজ্জামান হাসের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নিহতের বড় ভাই গাংনী থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

গাংনী থানা সূত্রে জানা গেছে, নিহতের বড় ভাই মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে গাংনী থানায় একটি এজাহার দাখিল করেন। মামলায় ওই গ্রামের হাতেম আলীর ছেলে মোসলেম আলীকে প্রধান আসামি করে আরো ১৬ জনের নামে মামলাটি দায়ের করা হয়। ১৭ জন আসামি পলাতক রয়েছে। তবে আসামিদের গ্রেফতারের স্বার্থে তাদের নাম গোপন রেখেছে পুলিশ।

এদিকে আসামিদের বাড়িঘর জনশূন্য। হত্যকাণ্ডের পর থেকেই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অনেকেই মালামাল ও গবাদিপশু নিয়ে গ্রামের বাইরে চলে যান। গত দু দিন পুরুষ শূন্য হয়ে পড়ে গ্রামটি। তাছাড়া হাসেরেরর প্রতিপক্ষের লোকজনের বাড়িঘর এখন শূন্য হাহাকার। পুরুষ মানুষগুলো সকালে বাড়ি ত্যাগ করে। সন্ধ্যার আগেই তাদের বাড়ির সব মানুষ অন্যত্র চলে যায়। তবে গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দৃঢ় অবস্থানের কারণে লুটপাটসহ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সক্ষম হয় পুলিশ। গ্রামে বসানো হয়েছে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প। এর আগের দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পরে ওই গ্রামে ব্যাপকভাবে লুটপাট ও বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছিলো।

নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের পর দ্রুত আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। একই সাথে হত্যকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান তারা। আসামিদের গ্রেফতারে ঘটনার পর থেকেই অভিযান অব্যহত রয়েছে। তারা এলাকার বাইরে অবস্থান করছে জানিয়ে দ্রুততম সময়ে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে জানান গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেন।

উল্লেখ্য, চরগোয়াল গ্রামের সাদিমান মন্ডলের ছেলে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান হাসেরকে বুধবার ভোরে গ্রামের কামারদাঁড় মাঠের সড়কে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে দুবৃত্তরা।