দামুড়হুদার দুটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে
স্টাফ রিপোর্টার: দামুড়হুদার নতিপোতা ও নাটুদাহ ইউপি নির্বাচন পরবর্তী প্রতিপক্ষের সমর্থকদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন নবগঠিত নাটুদাহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পরাজিত প্রার্থী ইয়াচনবীসহ তার লোকজন এবং ফজলুল হকের লোকজন। নতিপোতা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী আজিজের লোকজন মরগাংনী বিলের ফিসিং বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভগিরথপুরের আবু তালেব। ফিসিঙের সময় তাকে ধাওয়া করা হয় বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়দের অনেকে। এসব ঘটনায় উদ্বিগ্ন এলাকার সচেতনমহল। তাদের আশঙ্কা বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে।
এলাকাবাসী জানায়, দামুড়হুদা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের ফজলুল হক গত ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত নাটুদাহ ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে পরাজিত হন। পরাজিত প্রার্থী ফজলুল হকের প্রতিবেশী মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে আহাদ আলী গ্রামেরই আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী (পরাজিত) আব্দুল হালিমের সমর্থক ছিলেন। ফজলুল হকের পক্ষে ভোট না করায় ফজলুল চাচাতো ভাই মৃত সুলতান পণ্ডিতের দু ছেলে সাদিকুল ও দোস্ত মোহাম্মদ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এরই জের ধরে এবং গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে আহাদ আলীর বাড়িতে ঢুকে উঠোনে থাকা গরুর ঘাস খাওয়ানো ৩টি নান্দা ভাঙচুর করে এবং বাড়ি থেকে বের হওয়া পথ বন্ধ করে দেয়। এ ঘটনায় এলাকায় নিন্দার ঝড় ওঠে। এদিকে গতকাল দুপুর ১টার দিকে নাটুদাহ বাজার কমিটির সভাপতি ও নাটুদাহ স্কুল মার্কেটের বিসমিল্লাহ গার্মেন্টেসের মালিক অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মো. সাইদুর রহমান সাইদকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে টেনেহেঁচড়ে বের করে এনে লাঞ্ছিত করেছে এ ইউনিয়নের আরেক পরাজিত প্রার্থী জগন্নাথপুরের ইয়াচনবী, কালাম মাস্টার, শহিদুল মাস্টারসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা। সাইদুর রহমান সাইদের অপরাধ বিজয়ী প্রার্থী শফিকে অভিনন্দন জানানো। এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে এলাকাবাসী।
অপরদিকে গতকাল সকালে ভগিরথপুরের আবু তালেব তার লোকজন নিয়ে মরগাংনী বিলে মাছ ধরতে গেলে নতিপোতা ইউনিয়নে বিজয়ী প্রার্থী আজিজের সমর্থক নতিপোতার বিল্লাল, মতিয়ার, লাহোর, গোলাম, কালিয়াবকরির নোয়াজ্জেসসহ বেশ কয়েকজন ভগিরথপুরের আবু তালেবের ওপর হামলা চালায়। আবু তালেব এ সময় নতিপোতা থেকে বিল পার হয়ে হোগলডাঙ্গায় চলে আসে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ফিসিং। এলাকার শান্তি প্রিয়জনগণ বলেন, আজিজ চেয়ারম্যান হলে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাবে এটা অনেকেই অনুমান করেছিলো। তারা বলেন, জনগণ যে হাত দিয়ে ফুলের মালা দেয় সেই হাত দিয়ে তাকে জুতোর মালা পরাতেই পিছপা হন না এটা মাথায় রাখা উচিত।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি কামরুজ্জামান বলেন, আমি ঘটনা শুনেছি। তবে এখনও পর্যন্ত থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।