মাথাভাঙ্গা মনিটর: কোনো প্রাতিষ্ঠানিক মহল থেকে এখনও সমর্থন না পেলেও আ হ ম মোস্তফা কামাল সারা ক্রিকেট দুনিয়ার অসংখ্য ভক্তদের সমর্থন পেতে শুরু করেছেন। গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে সভাপতিকে পুরস্কার মঞ্চ থেকে দুরে রাখায় টুইটার, ফেসবুকসহ সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আইসিসি চেয়ারম্যান শ্রীনিবাসনের প্রতি নিন্দার ঝড় উঠেছে। আর পুরো ব্যাপারটার শুরু হয়েছে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) শ্রীনিবাসনের নাম ঘোষণার সময় দুয়োধ্বনি দেয়ার ভেতর থেকে।
কোয়ার্টার ফাইনালে ভারত ও বাংলাদেশ ম্যাচে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলায় নিজের সংস্থারই বিরাগভাজন হন বাংলাদেশি এ রাজনীতিবিদ ও ক্রিকেট সংগঠক। তাকে এ অনুষ্ঠানে আদৌ রাখা হবে না, এমনটা আইসিসি আগের দিনই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলো বলে ভারতীয় একটি সংবাদ মাধ্যম খবর প্রকাশ করে। আইসিসির গঠনতন্ত্রে বলা আছে, বিশ্বকাপ ও অন্যান্য আইসিসি ইভেন্টে পুরস্কার বিতরণ করবেন সভাপতি। এ গঠনতন্ত্রের ঘোষণাকেকেও আইসিসি পাত্তা দেয়নি। তার বদলে আইসিসির নবসৃষ্ট পদের মালিক এন শ্রীনিবাসন ট্রফি তুলে দেন মাইকেল ক্লার্কের হাতে। মঞ্চে যখনই শ্রীনিবাসনের নাম ঘোষণা করা হয়, দুয়োধ্বনিতে ফেটে পড়ে এমসিজি। এরপরই ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ও সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকারের নাম ঘোষণা করা হলে অবশ্য ধ্বনিটা উল্লাসে বদলে যায়। এ দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে টুইটারে এক ভারতীয়ই লিখেছেন, আরও একবার শ্রীনিকে বাঁচিয়ে দিলো টেন্ডুলকারের ভাবমূর্তি।
আবার এক শ্রীলঙ্কান সমর্থক দুটো কার্টুন পোস্ট করে লিখেছেন- ক্রিকেটের গড ও গড ফাদার পাশাপাশি দাঁড়িয়ে! এখানে ‘গড’ বলতে টেন্ডুলকার এবং ‘গড ফাদার’ বলতে শ্রীনিবাসনকে বোঝানো হয়েছে। শ্রীনিবাসন যেহেতু নিজের দেশেই উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞায় ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে এবং পদ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, তাই তাকে নিয়ে ভারতীয়দের ক্ষোভও চোখে পড়ার মতো। অনেকেই টুইট করেছেন যে, নিজের দেশের পর এবার বিশ্বকাপেও শ্রীনিবাসনকে দুয়োধ্বনি। ভারতীয় প্রায় সব শীর্ষস্থানীয় সংবাদ মাধ্যম গতকাল এ নিয়ে খবর প্রকাশ করেছে। প্রত্যেকেই বড় করে সামনে এনেছে এ দুয়ো দেয়ার ব্যাপারটাকে।