আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কতিপয় নেতার বিরুদ্ধে আপত্তিকর পোস্টার ছড়ানোর অভিযোগ
আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার হারদী ইউনিয়ন জাসদের সভাপতিসহ ৪ জনকে ধরে মারপিট করে পুলিশে দেয়ার পর মুচলেকায় মুক্তি মিলেছে তাদের। পুলিশ ও স্থানীয়রা এ তথ্য দিয়ে বলেছে, হারদী ইউনিয়ন স্থানীয় আওয়ামী লীগ-যুবলীগের কয়েকজন নেতা তাদেরকে ওসমানপুর বাজার থেকে আটক করেন। সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গা থানায় স্থানীয় জাসদ ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের মধ্যস্থতায় মুচলেকা নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার ওসমানপুর বাজার থেকে হারদী ইউনিয়ন জাসদের সভাপতিসহ ৪ জনকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ-যুবলীগের কতিপয় নেতা আটক করে। আটককৃতরা হলেন- প্রাগপুর গ্রামের মৃত করিমের ছেলে হারদী ইউনিয়ন জাসদের সভাপতি রমজান আলী (৬৫), লক্ষ্মীপুরের মৃত খোদাবক্সের ছেলে আলমগীর আলী (৩০), ওসমানপুরের মৃত খেপাই মণ্ডলের ছেলে আয়ুব আলী (৫৫) ও একই গ্রামের আবুল কাশের ছেলে আবুল কালাম (৩৫)। আটকের সময় ইউনিয়ন জাসদের সাধারণ সম্পাদক গ্রাম্য ডাক্তার মাহফুজ পালিয়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। এ সময় আটককৃতদের মারধর করে ওসমানপুর ফাঁড়ি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় স্থানীয় জাসদ ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের মধ্যস্থতায় মুচলেকা নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, হারদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কতিপয় নেতার বিরুদ্ধে এলাকায় চাঁদাবাজি, বোমাবাজি ও আগ্নেয়াস্ত্র কেনাসহ নানা অভিযোগ সংবলিত পোস্টার ছড়ানোর অভিযোগে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আয়নাল হোসেন, শাহাদত আলী মেম্বার, যুবলীগ নেতা আশরাফুল, মুন্তাজ আলী, আফফান আলীসহ কয়েকজন তাদেরকে আটক করে। আটক আয়ুব আলীর নিকট থেকে বিলিকৃত পোস্টারও উদ্ধার করা হয়। সে সময় তিনি জানান, জাসদ নেতা ডাক্তার মাহফুজ আলী ওই পোস্টার লিখেছেন। পোস্টারে নির্দিষ্ট করে ১১ জনের নামসহ তাদের নিকট থেকে কতো টাকা করে নেয়া হয়েছে তার বিবরণ ও কারা চাঁদাবাজির সাথে জড়িত তাদের নামের তালিকা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ওই এলাকার বোমা হামলায় জড়িত, বোমা তৈরির ঘটনায় জড়িত, ধর্ষণের ঘটনা ঘটায় তাদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এছাড়া যার নিয়ন্ত্রণে ৪০টি রামদা, ৮ রাউন্ড গুলি, বোমা, ফাইভ স্টার পিস্তল ও এলজির মতো আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে তার নাম লেখা রয়েছে।