দামুড়হুদার দুটি ইউপি নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন : নতুনদের চমক
বখতিয়ার হোসেন বকুল: দামুড়হুদার নতিপোতা ও নবগঠিত নাটুদাহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সাবেক চেয়ারম্যানদের ভরাডুবি ঘটিয়ে নতুন দুজন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে গোপন ব্যালটে ভোটগ্রহণ করা হয়। এ নির্বাচনে নতিপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুল হক আজিজ। নবগঠিত নাটুদাহ ইউনিয়ন পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান হলেন শফিকুল ইসলাম শফি।
নতিপোতা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মোট ৪ জনের মধ্যে আজিজুল হক আজিজ দুটি পাতা প্রতীক নিয়ে ৪ হাজার ৯৯৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রবিউল হাসান টেবিল ফ্যান প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪ হাজার ৪৭১ ভোট এবং কামরুজ্জামান টুনু তাল গাছ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ৭৪৪ ভোট। এছাড়া নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনির অটোরিকশা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৫ ভোট। অপর দিকে নাটুদাহ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মোট ৯ জনের মধ্যে শফিকুল ইসলাম শফি তালগাছ প্রতীক নিয়ে ৩ হাজার ৮৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী ইয়াচনবী অটোরিকশা প্রতীকে পেয়েছে ২ হাজার ৫৩৮ ভোট। এছাড়া আ. হালিম ফ্রিজ প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ২৮১ ভোট, ফজলুল হক টেবিল ফ্যান প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৬৯৪ ভোট, আব্দুল খালেক রজনীগন্ধা প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ২২২ ভোট, আব্দুল মালেক দুটি পাতা প্রতীকে পেয়েছেন ৬৩৩ ভোট, আমিনুল ইসলাম পাগড়ি প্রতীকে ১২০ ভোট, আলিম উদ্দিন ঢোল প্রতীকে ১৩১ ভোট এবং নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানো প্রার্থী মাসুম আলী পেয়েছেন ৫২ ভোট। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রিটার্নিং অফিসার আবু দাউদ ওই ফলাফল ঘোষণা করেন। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদুর রহমান, দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি কামরুজ্জামানসহ প্রমূখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
নতিপোতা ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১৩ হাজার ৪৩৩ জন। এর মধ্যে পোল হয়েছে ১২ হাজার ৭ ভোট এবং নাটুদাহ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১৩ হাজার ২১৬ জন। এর মধ্যে পোল হয়েছে ১১ হাজার ৯৮৭। নতিপোতা ইউনিয়নে সংরক্ষিত-১ নং ওয়ার্ডে মহিলা সদস্য পদে আঞ্জুমান জবাফুল প্রতীক নিয়ে ২ হাজার ১৭০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী মুসলিমা খাতুন কড়াই প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৩৭১ ভোট। সংরক্ষিত-২ নং ওয়ার্ডে রুবিনা খাতুন জবাফুল প্রতীক নিয়ে ২ হাজার ৫৩৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মনোয়ারা খাতুন কড়াই প্রতীকে পেয়েছেন ৮৯১ ভোট। সংরক্ষিত-৩ নং ওয়ার্ডে জাহানারা খাতুন আখি বিড়াল প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ৯৯৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হালিমা খাতুন জবাফুল প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৩০৮ ভোট। এছাড়া হাছিনা আক্তার বেগুন প্রতীকে পেয়েছেন ৯৫৩ ভোট, সাজিমা খাতুন কড়াই প্রতীকে পেয়েছেন ১১৬ ভোট এবং সাহিদা খাতুন চিরুনি প্রতীকে পেয়েছেন ৭২ ভোট।
এ ইউনিয়নে ১ নং সাধারণ ওয়ার্ডে বদরুল আলম মরিচ প্রতীক নিয়ে ৪০৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মকলেছুর রহমান বসার টুল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৮১ ভোট। এছাড়া মিজানুর রহমান তাল প্রতীকে পেয়েছেন ২৫৮ ভোট, শান্তি রহমান ভ্যানগাড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ২২১ ভোট এবং মনিরুল ইসলাম টর্চলাইট প্রতীকে পেয়েছেন ১৯৮ ভোট। ২ নং ওয়ার্ডে মইনুল ইসলাম ভ্যানগাড়ি প্রতীক নিয়ে ৪৪৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আক্তারুজ্জামান টর্চলাইট প্রতীকে পেয়েছেন ২৮১ ভোট। ৩ নং ওয়ার্ডে মাসুদ রানা টর্চলাইট প্রতীক নিয়ে ৪৬২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আক্তার শেখ ভ্যানগাড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৪২৮ ভোট। এছাড়া আব্দুল মান্নান মরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ৩১৮ ভোট এবং ছলেমান মিয়া বসার টুল প্রতীকে পেয়েছেন ২১৫ ভোট। ৪ নং ওয়ার্ডে আমিরুল ইসলাম ভ্যানগাড়ি প্রতীক নিয়ে ৬৭৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটমতম প্রতিদ্বন্দ্বী আশাদুল হক বসার টুল প্রতীকে পেয়েছেন ৬২২ ভোট এবং লুকমান হাকিম টর্চলাইট প্রতীকে পেয়েছেন ২৩৩ ভোট। ৫ নং ওয়ার্ডে ইয়ামিন আলী ভ্যানগাড়ি প্রতীক নিয়ে ৮০১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মামুন অর রশিদ বসার টুল প্রতীকে পেয়েছেন ১৯৩ ভোট। ৬ নং ওয়ার্ডে বিল্লাল হোসেন বসার টুল প্রতীক নিয়ে ৫৫৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শওকত আলী ভ্যানগাড়ি প্রতীকে ২৯৭ ভোট এবং আ. জলিল মরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১৪৩ ভোট। ৭ নং ওয়ার্ডে সেলিম হোসেন মরিচ প্রতীক নিয়ে ৫৭৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রবিউল ইসলাম বসার টুল প্রতীকে পেয়েছেন ৫৫৪ ভোট। এছাড়া লিয়াকত আলী ভ্যানগাড়ি প্রতীকে ৪৮৫ এবং বাবলু খান টর্চলাইট প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ ভোট। ৮ নং ওয়ার্ডে ইমদাদুল হক বসার টুল প্রতীক নিয়ে ৯০২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মফিজুর রহমান ভ্যানগাড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৬৩৮ ভোট এবং জাহাঙ্গীর আলম টর্চলাইট প্রতীকে পেয়েছেন ১ ভোট। ৯ নং ওয়ার্ডে শফিকুল ইসলাম বসার টুল প্রতীক নিয়ে ৮৫২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আশাদুল হক ভ্যানগাড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৫৬১ ভোট।
নাটুদাহ ইউনিয়নে সংরক্ষিত-১ নং ওয়ার্ডে মহিলা সদস্য পদে দেলোয়ারা খাতুন জবাফুল প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ২৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাসিনা খাতুন চিরুনি প্রতীকে পেয়েছেন ৯৯৬ ভোট। এছাড়া মরজিনা খাতুন বেগুন প্রতীকে ৮০৭ ভোট, লুৎফুন্নেছা স্কুলব্যাগ প্রতীকে ৩১৩ ভোট এবং শাবানা খাতুন কড়াই প্রতীকে পেয়েছেন ২৫৪ ভোট। সংরক্ষিত-২ নং ওয়ার্ডে ইসমোতারা খাতুন কড়াই প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ৮৪১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আদুরী খাতুন স্কুলব্যাগ প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৪১৯ ভোট এবং রাবেয়া খাতুন জবাফুল প্রতীকে পেয়েছেন ৫৯৩ ভোট। সংরক্ষিত-৩ নং ওয়ার্ডে কহিনুর খাতুন কড়াই প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ৩৫১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাহানারা খাতুন চিরুনি প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ১৮২ ভোট। এছাড়া রুপভানী খাতুন জবাফুল প্রতীকে ৬২১ ভোট, ফিরোজা খাতুন স্কুলব্যাগ প্রতীকে ৪৫৫ ভোট এবং নূরজাহান খাতুন বিড়াল প্রতীকে পেয়েছেন ২৪৫ ভোট।
এ ইউনিয়নে ১ নং ওয়ার্ডে আব্দুল কুদ্দুস মরিচ প্রতীক নিয়ে ৪৩৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাবিবুর রহমান টর্চলাইট প্রতীকে ৩৭১ ভোট এবং কামরুল ইসলাম ভ্যানগাড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩৭ ভোট। ২ নং ওয়ার্ডে রবিউল ইসলাম রবি ভ্যানগাড়ি প্রতীক নিয়ে ৮৯৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনোয়ার হোসেন বসার টুল প্রতীকে পেয়েছেন ৫০৩ ভোট। ৩ নং ওয়ার্ডে আমজাদ আলী মরিচ প্রতীক নিয়ে ৩৫৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছানারুল ইসলাম টর্চলাইট প্রতীকে পেয়েছেন ৩০২ ভোট। এছাড়া মহিউদ্দিন মোল্লা ভ্যানগাড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ২৪৪ ভোট এবং শুকুর আলী বসার টুল প্রতীকে পেয়েছেন ২৩৭ ভোট। ৪ নং ওয়ার্ডে আব্দার আলী খাম প্রতীক নিয়ে ৪১৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নজরুল ইসলাম মরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ২৪১ ভোট। এছাড়া জুয়েল রানা টর্চলাইট প্রতীকে ২০০ ভোট, সেলিম খান লিচু প্রতীকে ১৯৫ ভোট, মতিয়ার রহমান ভ্যানগাড়ি প্রতীকে ১২২ ভোট, শিপলু খান বসার টুল প্রতীকে ১০৯ ভোট এবং মনিরুল ইসলাম পানির পাম্প প্রতীকে পেয়েছেন ১০৭ ভোট। ৫ নং ওয়ার্ডে জসিম উদ্দিন বসার টুল প্রতক নিয়ে ৫০৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জহির উদ্দিন ভ্যানগাড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৩৮৮ ভোট এবং মনিরুল ইসলাম লিচু প্রতীকে পেয়েছেন ২৩১ ভোট। ৬ নং ওয়ার্ডে শহিদুল ইসলাম ভ্যানগাড়ি প্রতীক নিয়ে ৬০৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবুল কাসেম মরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ৪৭৩ ভোট এবং মুনছুর আলী বসার টুল প্রতীকে পেয়েছেন ৪০৪ ভোট। ৭ নং ওয়ার্ডে কলিম উদ্দিন বসার টুল প্রতীক নিয়ে ৫০৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ.মান্নান টর্চলাইট প্রতীকে পেয়েছেন ৪৩৭ ভোট। এছাড়া আরিফুল জামান ভ্যানগাড়ি প্রতীকে ৩৭৬ ভোট, মোশারফ তরফদার তাল প্রতীকে ৩৬২ ভোট, খলিলুর রহমান মরিচ প্রতীকে ২৪৬ ভোট এবং আবু সামা লিচু প্রতীকে কোনো ভোট পাননি। ৮ নং ওয়ার্ডে জবেদ আলী টর্চলাইট প্রতীক নিয়ে ৫৬৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রেজাউল করিম ভ্যানগাড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৫৪৫ ভোট এবং আয়ুব আলী বসার টুল প্রতীকে পেয়েছেন মাত্র ৪ ভোট। ৯ নং ওয়ার্ডে আব্বাস আলী মরিচ প্রতীক নিয়ে ৩২৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বশির আহম্মদ রেললাইন প্রতীকে পেয়েছেন ৩০৮ ভোট এবং আশরাফ আলী ভ্যানগাড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ২৩৭ ভোট।