স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশের মানুষ প্রতিদিন মোবাইলফোনে কথা বলেন প্রায় ৬০ কোটি টাকার! মাসে এটার পরিমাণ এক হাজার ৭৮৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকার মতো। আর বছরে এটা ২১ হাজার ৪২৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। তবে এটা শুধু কথা নয়, সাথে ইন্টারনেটও আছে। ইন্টারনেটের খরচ এখনও তুলনামূলক অনেক কম। গত ফেব্রুয়ারির শেষ নাগাদ হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে মোবাইলফোনের গ্রাহক ১২ কোটি ২৬ লাখ ৫৬ হাজার। আর ইন্টারনেটের গ্রাহক ৪ কোটি ২৭ লাখ ৬৬ হাজার। এর মধ্যে মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন ৪ কোটি ১৩ লাখ মানুষ।
মোবাইলফোন অপারেটরদের সংগঠন এমটবের সেক্রেটারি নুরুল কবির বলেন, মোবাইলফোনে কথা বলা মানেই অপচয় নয়। মানুষ অনেক দরকারি কাজও টেলিফোনে সারছেন। আর এখন তো মোবাইলফোন শুধু কথা বলার যন্ত্র নয়। এখানে বহুমাত্রিক সেবা পাওয়া যাচ্ছে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও পরিচালিত হচ্ছে মোবাইলফোনে। ফলে প্রতিদিন ৬০ কোটি টাকার কথা বলা এমন বড় কিছু নয়। আমাদের দেশে এখন মোবাইলফোনের গ্রাহক সোয়া ১২ কোটি। কিন্তু এর মধ্যে ৮ কোটি মানুষের হাতে ফোন আছে। কারও কারও কাছে দুটি-তিনটি করেও ফোন রয়েছে। ফলে এখনও আমাদের দেশে ৮ কোটি মানুষ মোবাইলফোন সেবার বাইরে। তাদেরও এ সেবার মধ্যে আনা গেলে তখন পরিমাণটা আরো বাড়বে। মানুষের কাজও সহজ হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত বছর ৬টি মোবাইলফোন অপারেটর মোট আয় করেছে ২১ হাজার ৪২৫ কোটি ৪৮ লাখ ৭৫ হাজার ৯৮৭ টাকা। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের আয় সর্বোচ্চ ১০ হাজার ৪৩ কোটি টাকা। এছাড়া বাংলালিংক ৪ হাজার ১৩২ কোটি ৬৪ লাখ, রবি ৪ হাজার ৬৭২ কোটি ২৫ লাখ, এয়ারটেল এক হাজার ৭১৩ কোটি ৮২ লাখ, রাষ্ট্রীয় মোবাইলফোন অপারেটর টেলিটক ৬৬০ কোটি ২৭ লাখ টাকা এবং সিটিসেল ২৩০ কোটি ৫২ লাখ টাকা আয় করেছে। মোবাইলফোন অপারেটরদের কাছ থেকেও পৃথকভাবে পাওয়া তথ্যের সাথে এ হিসেবের মিল পাওয়া গেছে।