লি’র মৃত্যুতে সিঙ্গাপুরে শোক : শেষকৃত্য ২৯ মার্চ

মাথাভাঙ্গা মনিটর: আধুনিক সিঙ্গাপুরের জনক লি কুয়ান ইউয়ের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। প্রিয় মানুষটির মৃত্যুর খবর শুনে ভোরের আলো না ফুটতেই সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতালে জড়ো হতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। কেউ ফুল, কেউ মঙ্গলবাণীর কার্ড দিয়ে আবার কেউ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে শ্রদ্ধা আর ভক্তি প্রকাশ করছেন লি কুয়ানের প্রতি। অনেকে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কেঁদে ফেলছেন। ২৯ মার্চ রোববার দুপুর ২টায় এনইউএস কালচারাল সেন্টারে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় লির শেষকৃত্য করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী লি শিয়েং লুং। তার আগ পর্যন্ত চলবে সপ্তাব্যাপি শোক পালন। শোক জানাতে আসা একজন বলেন, খুবই খারাপ লাগছে। তিনি ছিলেন আমার আদর্শ। আমি, আমার পরিবারসহ প্রত্যেকের কাছেই তিনি ছিলেন একজন ভালো মানুষ। অন্য একজন বলেন, আমাদের পুরো পরিবার শোকে কাতর। সৃষ্টিকর্তা তাকে শান্তিতে রাখুক। তাকে না পেলে আজকে আমরা এ অবস্থায় আসতে পারতাম না। সিঙ্গাপুরের স্বাধীনতার জন্য লড়া এবং, শূন্য থেকে শুরু করে একটি জাতি গড়ে তোলায় লি কুয়ানের অবদান তুলে ধরে টিভিতে এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী লুং এর ছেলে বলেন, সিঙ্গাপুরবাসী হিসেবে গড়ে তুলে তিনি আমাদের গর্বিত করেছেন। আমরা আর তার মতো মানুষ পাবো না। শূন্য থেকে সিঙ্গাপুরকে আজকের পর্যায়ে নিয়ে আসাটা লি’র অনেক বড় অর্জন বলে বর্ণনা করেন আরো একজন শোকর্ত ভক্ত। তার মৃত্যু অনেক বড় ক্ষতি, অনেক বড় বেদনা বলেন আরেকজন। ব্রিটেন ও মালয়েশিয়া থেকে সিঙ্গাপুরকে আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লড়াইয়ের সফল হওয়ার পর দেশের নেতৃত্ব নেন তিনি। ১৯৫৯ সালে সিঙ্গাপুরের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দীর্ঘদিনের শাসনকালে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসান সিঙ্গাপুরকে। সুদক্ষ নেতৃত্ব দিয়ে এশিয়ার সবচেয়ে সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে গড়ে তোলেন সিঙ্গাপুরকে।