অনলাইনে হয়রানি বন্ধ করতে মনিকার আহ্বান

মাথাভাঙ্গা মনিটর: সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সাথে যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনায় আলোচিত হোয়াইট হাউজের সাবেক ইন্টার্ন মনিকা লিউনস্কি প্রযুক্তি, বিনোদন ও নকশা বিষয়ক টেড সম্মেলনে যোগ দিয়ে ইন্টারনেট ব্যাবহারের ক্ষেত্রে সহানুভূতিশীল আচরণ করবার আহ্বান জানিয়েছেন। ১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের সাথে তাকে জড়িয়ে বিশ্বজুড়ে বহু সংবাদ শিরোনাম হয়েছিলো। নিজেকে সাইবার হয়রানির প্রথম শিকার হিসেবে উল্লেখ করে মিজ লিউনস্কি বলেন, অনলাইনে অন্যদের লজ্জার বিষয় প্রচার করে একদল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মজা পাওয়ার সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে। ২০০৫ সালের পর তিনি এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো জনসমক্ষে এলেন। এর আগে গত বছর অক্টোবর মাসে ফোর্বস ম্যাগাজিনের আন্ডার থার্টি সম্মেলনে বক্তব্য দিয়েছিলেন। টেড সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যের শুরুতেই নিজেকে নিয়ে রসিকতা করে বলেন, আমিই সম্ভবত একমাত্র চল্লিশের কোঠায় থাকা মহিলা যে আর কখনোই তার বাইশ বছর বয়সে ফিরে যেতে চায় না। বাইশ বছর বয়সে আমি আমার বসের প্রেমে পড়ি। আর ২৪ বছর বয়সেই এর ভয়ানক ফলাফল পেয়ে যাই। মনিকা উল্লেখ করেন ইন্টারনেট সেই ব্যক্তিগত অবমাননাকে আরো খারাপ পর্যায়ে নিয়ে যায়। ১৯৯৮ সালে অবশ্য আজকের মতো কোনো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ছিলো না ইন্টারনেটে, কিন্তু ক্লিনটন-মনিকা কেলেঙ্কারির খবর ইন্টারনেটেই প্রথম ছড়িয়েছিলো এবং রাতারাতি দুনিয়া জুড়ে তা ছড়িয়ে পড়ে। মনিকা লিউনস্কি বলছেন, রাতারাতি ভার্চুয়াল প্রস্তর-নিক্ষেপকারীরা আমার বিরুদ্ধে অনলাইনে দাঙ্গা ঘোষণা করে। আমি পতিতা হিসেবে চিহ্নিত হই। আমি আমার খ্যাতি, আমার মর্যাদা সবই হারিয়ে ফেলি। এমনকি আমার প্রাণনাশের উপক্রম হয়।