আলমডাঙ্গার নতিডাঙ্গায় ডাকাত সন্দেহে দুজন আটক : উত্তেজনা

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার বাড়াদী ইউনিয়নের নতিডাঙ্গা গ্রামের ডাকাত সন্দেহে দুজন আটক করেছে গ্রামবাসী। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রামের পানবরজে গাঁজা খেতে এসে নতিডাঙ্গার এক ব্যক্তির সাথে খারাফ ব্যবহার করার কারণে ফোন করে গ্রামবাসীকে খবর দিয়ে ডেকে নিয়ে এসে ডাকাত সন্দেহে তাদের আটক করে গ্রামবাসী। আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নেয়। দু গ্রামের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যায় সাড়ে ৭টার দিকে আলমডাঙ্গার বাড়াদী ইউনিয়নের নতিডাঙ্গা গ্রামবাসী ডাকাত সন্দেহে একই ইউনিয়নের গোলালবাড়ি গ্রামের মস্তবারির ছেলে মতিন (৩৫) ও রুস্তমের ছেলে স্কুল মাঠের পানবরজ থেকে আটক করে আটক করে গণধোলাই শেষে পুলিশে দিয়েছে। এ ব্যাপারে ডাকাত সন্দেহে অভিযুক্ত মতিন ও আরিফুল জানায়, সন্ধ্যায় নতিডাঙ্গা গ্রামের মন্টু খোড়ার কাছে থেকে গাঁজা কিনে স্কুলের সামনের মাঠের পানবরজে গাঁজা পান করছিলাম। এ সময় রাস্তা দিয়ে নতিডাঙ্গা গ্রামের আতিয়ার ও আনারুল যাচ্ছিলো। তারা রাস্তার পাশে কারা জানাতে চাইলে বাগবিতণ্ডা বাধে। তারা মোবাইলফোনে গ্রামবাসীকে খবর দিলে সঙ্ঘবদ্ধ গ্রামবাসী লাঠিসোঁটা নিয়ে আটক করে গণধোলাই দিয়ে আটক করে গ্রামের একটি বাড়িতে আটকে রাখে। তারা আরো জানায়, তারা কোনো প্রকার ডাকাতির সাথে জড়িত নয়। নতিডাঙ্গা গ্রামবাসী জানায়, গত ১ মার্চ নতিডাঙ্গা গ্রামের আনারুলের বাড়ি থেকে গভীর রাতে সঙ্ঘবদ্ধ চোরচক্র মোটরসাইকেলসহ বাড়ির মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। গতকাল আবারো রাস্তার পাশে ছিনতাই করার জন্য পজিশন নেয়ার সময় তাদের আটক করা হয়। গতকাল নতিডাঙ্গা গ্রামবাসী গ্রামের ঈদগামাঠে জড়ো হয়ে ডাকাত সন্দেহে আটক দুজনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সালিস করে।

সংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের এসআই জসিমসহ মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশের আইসি মিজান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাদের আটক করে থানায় নেনে। এ ব্যাপারে গোলয়াবাড়ি গ্রামবাসী জানায়, ডাকাত সন্দেহে আটক মতিন ও আরিফুল গ্রামের নিরীহ ছেলে হিসেবে পরিচিত তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ সড়যন্ত্রমূলক। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দু গ্রামের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। এলাকাবাসী বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে।

Leave a comment