স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আটক করেছে বলে দাবি করেছে বিএনপি ও তার পরিবার। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে সালাহউদ্দিনকে আটকের বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকে দলের হাইকমান্ড ও পরিবারের সদস্যদের সাথে তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়ে অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করা হয়েছে।
সালাহউদ্দিনের স্ত্রী সাবেক সংসদ সদস্য হাসিনা আহমেদ বলেন, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে তার সাথে কথা হয়েছিলো। এরপর তার আর কোনো খোঁজ পাচ্ছি না। মোবাইলফোনও বন্ধ। আমরা আশঙ্কা করছি- তাকে আটক করে কোথাও নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে বুধবার রাতে বিএনপির পক্ষ থেকে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়, মঙ্গলবার রাত ১০টার পর রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে পুলিশ, ডিবি ও ৱ্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ২০-৩০ জনের একটি দল সালাহউদ্দিন আহমেদকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে। একই সাথে বাসায় কর্মরত একজন পুরুষ এবং একজন নারী কর্মীকেও ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর থেকে তার পরিবারের সদস্যরা এবং রাজনৈতিক সহকর্মীদের সাথে তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এখন পর্যন্ত তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি এমনকি গ্রেফতারের কথাও আইনশৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়নি। এতে তার পরিবার ও রাজনৈতিক সহকর্মীরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। বিবৃতিতে অবিলম্বে সালাহউদ্দিন আহমেদ এবং তার সঙ্গে আটক দুই কর্মীর মুক্তি ও এভাবে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের গোপনে তুলে নিয়ে যাওয়ার মতো অন্যায়, বেআইনি ও স্বৈরাচারী কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়।
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের ১৩/বি রোডের ২৯ নম্বর বাসায় সাদা পোশাকে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালান। বাসার দরজা না খোলায় তা ভেঙে তারা ভেতরে প্রবেশ করেন। পরে তারা সেখান থেকে বেরিয়ে যান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দরজা ভেঙে কে বা কারা বাসার ভেতরে প্রবেশ করেন। দরজা ভাঙার বিষয়টি বাড়ির মালিককে ফোনে জানান বাসার নিরাপত্তাকর্মীরা। তবে চলে যাওয়ার সময় সালাহউদ্দিনকে নিয়ে গেছেন কিনা তা তারা দেখেননি। বুধবার সকালে বাড়ির মালিক সেখানে যান। এ সময় সালাহউদ্দিনকে বাসায় দেখেননি তিনি।
৬ জানুয়ারি থেকে দলের বিভিন্ন তথ্য গণমাধ্যমে জানিয়ে আসছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ। ৩০ জানুয়ারি গভীর রাতে রাজধানীর বারিধারার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর থেকে দলের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। অজ্ঞাত স্থান থেকে কর্মসূচি ঘোষণাসহ নানা ইস্যুতে দল ও জোটের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠান সালাহউদ্দিন আহমেদ।