নীতিমালা লঙ্ঘন করে করায় দু প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও দু শিক্ষকের বিরুদ্ধে আদালতের কারণ দর্শানোর নোটিশ

স্টাফ রিপোর্টার: বদলি বিষয়ক জ্যেষ্ঠতার নীতিমালা লঙ্ঘন করে আলমডাঙ্গার আসাননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কনিষ্ঠ দু শিক্ষক বদলি করার ঘটনা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। ওই পদে বদলি ইচ্ছুক এক শিক্ষকের অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা, জেলা ও কনিষ্ঠ দু শিক্ষকের বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা, জ্যেষ্ঠতা নীতিমালার নির্দেশ মোতাবেক মামলার বাদীকে পদায়নের নির্দেশ ও কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন আদালত।

জানা গেছে, সম্প্রতি আলমডাঙ্গা শহরের নিকটবর্তী আসাননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দু সহকারী শিক্ষকের পদশূন্য হয়। ওই শূন্যপদে ১১ জন শিক্ষক আবেদনপত্র জমা দেন। এ ক্ষেত্রে চাকরির নীতিমালা অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদায়ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে করা লিস্ট অনুযায়ী ১ নং ২ নং ও ৪ নং প্রার্থী তাদের আবেদনপত্র প্রত্যাহার করায় জ্যেষ্ঠতার তালিকায় ১ নং চরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মর্জিনা খাতুন ও ২ নং আবেদক বকশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাসুদ রানা রয়েছেন। সরকারি নীতি অনুযায়ী এ দুজনই ওই শূন্য ২টি পদে বদলির জন্য বিবেচিত হবেন। সর্বশেষ ২০১১ সালের বদলি নীতিমালার ট ঝ উপধারা অনুযায়ী কোনো অবস্থাতেই জ্যেষ্ঠতার নীতিমালা লঙ্ঘন করার সুযোগ নেই। তারপরও চাকরির সমস্ত নীতিমালা লঙ্ঘন করে জ্যেষ্ঠতার তালিকার ৬ নং সিরিয়ালে থাকা জোবায়দা খাতুন ও ৭ নং সিরিয়ালে থাকা মনিরা খাতুনকে ওই শূন্য দু পদে বদলি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে জ্যেষ্ঠতার তালিকায় ২য় অবস্থানে থাকা বকশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাসুদ রানা বাদী হয়ে আদালতে এজাহার দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত গত ৪ মার্চ আলমডাঙ্গা উপজেলা শিক্ষা অফিসার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও অনিয়মতান্ত্রিকভাবে বদলি হওয়া দু শিক্ষকের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। এছাড়া একই সাথে বিজ্ঞ আদালত বদলি আদেশের বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ও বাদীকে দুটি শূন্যপদের যেকোনো ১টিতে বদলি করতে আদেশ দিয়েছেন।