চুয়াডাঙ্গা সদরের ২১ প্রাইমারী স্কুলে দপ্তরি কাম-নৈশপ্রহরী নিয়োগের বিপরীতে ১৩১টি আবেদন

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ২১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম-নৈশপ্রহরী পদে নিয়োগ পেতে আবেদনপত্র জমা পড়েছে ১৩১টি। এর মধ্যে তিতুদহ ও বেগমপুর ইউনিয়নের ১০টি বিদ্যালয়ে আবেদনের সংখ্যা ৭৫টি।

সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপে চুয়াডাঙ্গা সদরে ২১টি বিদ্যালয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি দপ্তরি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ২৫ ফেব্রুয়ারি আবেদন জমা দেয়ার শেষ দিন ছিলো। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৩টি বিদ্যালয়ে আবেদন পড়েছে ১২টি, আলুকদিয়া ইউনিয়নের ১টি বিদ্যালয়ে আবেদন পড়েছে ৩টি, কুতুবপুর ইউনিয়নের ২টি বিদ্যালয়ে আবেদন পড়েছে ১৩টি, শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের ৩টি বিদ্যালয়ে আবেদন পড়েছে ১৪টি, বেগমপুর ইউনিয়নের আকন্দবাড়িয়ায় ১১টি, কোটালী ৯টি, ডিহি কৃঞ্চপুর ৫টি ও রাঙ্গিয়ারপোতা বিদ্যালয়ে ৪টি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। অপরদিকে তিতুদহ ইউনিয়নের খাড়াগোদায় ৮টি, গহরেপুরে ১০টি, বাটিকাডাঙ্গায় ৯টি, গিরীশনগরে ৫টি, কালুপোলে ৭টি ও তেঘরি বিদ্যালয়ে আবেদনপত্র জমা পড়েছে ৭টি ।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকে বয়স কমিয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৮ম শ্রেণি পাস সর্টিফিকেট জোগাড় করে চাকরি প্রত্যাশিত প্রার্থীরা ধরনা দিচ্ছেন স্থানীয় নেতাদের নিকট। বিশেষ করে নিয়োগ কমিটির সদস্যদের নিকট। এরই মধ্যে অনেক সদস্য বায়না নিয়েও ফেলেছেন বলে বেগমপুর ও তিতুদহ ইউনিয়নে গুঞ্জন চলছে। এ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার অর্থবাণিজ্য যেন না হয় সে ব্যাপারে শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন। তারপরও চাকরি প্রার্থীরা ওই পদে নিয়োগ পেতে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত কারো কারো নিকট দিয়েছেন। বেগমপুর ও তিতুদহ ইউনিয়নের ১০টি পদের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৭৫টি। আজ যাচাই-বাচাই হবে বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তর জানিয়েছে। যাচাই-বাচাই শেষে পরীক্ষার দিনক্ষণ ঠিক হবে। ৬ সদস্য বিশিষ্ট নিয়োগ কমিটিতে সভাপতি হিসেবে থাকবেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সদস্যসচিব উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, সদস্য হিসেবে থাকবেন একজন এমপি প্রতিনিধি, একজন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রাধান শিক্ষক। প্রথম ধাপে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি নিয়োগ দিতে গিয়ে নিয়োগে বিভিন্ন অনিয়ম ধরা পড়ায় এবারের নিয়োগ কমিটিতে পরিবর্তন এসছে।