গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় পুলিশকে জনগণের সবচেয়ে কাছের বন্ধু বলে মনে করা হয়। নিরাপত্তার প্রতীক। সেই পুলিশ কেন চাইবে টর্চার এবং কাস্টডিয়াল মৃত্যু (প্রিভেনশন) ২০১৩ ধারার সেকশন ১২ বাতিল?
বিষয়টি আলোচিত হয়ে উঠেছে। আলোচ্য সুপারিশের কথা স্বীকার করে স্বরাষ্ট্র সচিব বলেছেন- পুলিশের পক্ষ থেকে একটি সুপারিশ পাওয়া গেছে। সুপারিশে পুলিশ সদর দফতর থেকে টর্চার এবং কাস্টডিয়াল মৃত্যু (প্রিভেনশন) ২০১৩ ধারার সেকশন ১২ বাতিলের কথা বলা হয়েছে। ওই ধারায় বলা হয়েছে, যুদ্ধ পরিস্থিতি, যুদ্ধের হুমকি, রাজনৈতিক অস্থিরতা, জরুরি অবস্থা অথবা ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা বা সরকারি কর্তৃপক্ষের আদেশ এ আইনে আমলযোগ্য হবে। আইনটি পাস করা হয়েছিলো জাতিসংঘের ১০ ডিসেম্বর ১৯৮৪ সালের নির্যাতন এবং নিষ্ঠুরতা প্রতিবিধানে গৃহীত সিদ্ধান্তের আলোকে। আওয়ামী লীগ সরকারই বিলটি পাস করে। জাতিসংঘ সনদে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে নির্যাতন প্রতিরোধে কার্যকর আইন হিসেবে সরকার এ আইনপ্রণয়ন করেছিলো। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল বলেছেন, এ ধরনের বিষয়ে পুলিশকে কোনো অবস্থাতেই অসীম ক্ষমতা দেয়া যাবে না। পুলিশকে অধিকতর সাংবিধানিক আচরণই করতে হবে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৫(৫) ধারায় কোনো নাগরিকের প্রতি নির্যাতন নিষ্ঠুরতা, মানবিক ও মানবেতর শাস্তি ও নির্যাতন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আইনের কারণে কিছুটা হলেও স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতার কথা সকলকেই ভাবতে হয়। দায়বদ্ধতা থাকতে হয়। মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীদের মতো আমরাও মনে করি অবাধ ক্ষমতা অপব্যবহারের পথকেই উন্মুক্ত করে।