ভোটযুদ্ধে ১০ চেয়ারম্যান প্রার্থী মাঠে : জোরেসোরে চলছে প্রচারাভিযান
হারুন রাজু/মোস্তাফিজুর রহমান কচি: দামুড়হুদার নতিপোতা ইউনিয়ন পরিষদকে ভেঙে নাটুদাহ ইউনিয়ন গঠিত হয়েছে। দীর্ঘদিনের প্রক্রিয়া মাসতিনেক আগে সফল হলেও এখনো নির্মাণ করা হয়নি পরিষদ ভবন। ২০টি গ্রাম নিয়ে ছিলো নতিপোতা ইউনিয়ন পরিষদ। এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামের দূরত্ব ছিলো অনেক। নতিপোতা ইউনিয়ন পরিষদ গঠনের সঠিক হিসাব কেউ দিতে পারেনি।
ইউনিয়ন এলাকার বেশ কয়েকজন বয়স্ক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা গেছে, পাকিস্তান শাসনামলে ইউনিয়ন পরিষদ গঠন করা হয়। এ ইউনিয়নে প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ছুটিপুর মহাসিন আলী। স্বাধীনতার পরপরই চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন নতিপোতা গ্রামের আব্দুল কালাম ডাক্তার। এরপর কয়েকবার নির্বাচনের মাধ্যমে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন একাধিক। ১৯৮২ সালের দিকে তৎকালীন চেয়ারম্যান ওয়াজেদ আলী ইউনিয়নকে ২ ভাগে বিভক্তির জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে আবেদন করেন। সে থেকে প্রক্রিয়া শুরু হয়। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগরের সদিচ্ছায় মাস তিনেক আগে নতিপোতা ইউনিয়নকে দুভাগে বিভক্তি করে নাটুদাহ ইউনিয়ন ঘোষণা করা হয়েছে। সবশেষে ২০০২ সালে নতিপোতা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আইনি জটিলতার কারণে এ ইউনিয়ন টানা ১৩ বছরের কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। ফলে মনিরুজ্জামান মনির দীর্ঘ সময় চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করেন। দুলালনগর, চারুলিয়া, ছাতিয়ানতলা, কুনিয়া, চন্দ্রবাস, বোয়ালমারী, ফকিরপাড়া, জগন্নাথপুর, খলিশাগাড়ি ও গোচিয়ারপাড়া গ্রাম নিয়ে গঠিত হয়েছে ৮ নং নাটুদাহ ইউনিয়ন পরিষদ। ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী আগামী ২৯ মার্চ নবগঠিত নাটুদাহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে এলাকা। সাধারণ ভোটারের মধ্যে তেমনটা না হলেও প্রার্থী ও সমর্থকদের মাঝে চরমভাবে নির্বাচনী ইমেজ দোলা দিচ্ছে। অবিরাম প্রচারণায় সরগরম করে তুলেছে নির্বাচনের মাঠ। নির্বাচনের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিচিত হয়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি স্থান। এ নির্বাচনে ১০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। এদের মধ্যে আ.লীগ সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে জগন্নাথপুরের ইয়াছনবীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে দলের ব্যানারে ভোটযুদ্ধে মাঠ গরম করে তুলেছেন ইয়াছনবী। আ.লীগের ওপর প্রার্থী হিসেবে চন্দ্রবাসের আ. আলীমের নাম শোনা গেলেও দলের পক্ষ থেকে এখনো তার নাম ঘোষণা করা হয়নি। আ.লীগের সমর্থনের আশায় মাঠে রয়েছেন জগন্নাথপুরের আব্দুল মালেক। এরই মধ্যে দলের পক্ষ থেকে ইয়াছনবীর নাম ঘোষণা করা হলেও মাঠ ছাড়েননি মালেক। বিএনপির প্রার্থী হিসেবে চন্দ্রবাসের উসমান গণি দড়া, চন্দ্রবাসের ফজলুর রহমান মাঠে থাকলেও দলের পক্ষ থেকে এখনো কাউকেই সমর্থন দেয়নি। জামায়াতের সমর্থনের আশায় মাঠ চষছেন চন্দ্রবাসের আ. খালেক ও চারুলিয়ার আ. আলীম মুক্ত। শেষ পর্যন্ত জামায়াতের পক্ষ থেকে কে সমর্থন পাবেন এখন তা দেখার অপেক্ষামাত্র। এদিকে চারুলিয়া গ্রামের আলীবদ্দি, শফিউদ্দিন ও দুলালনগরের মাসুম খা ভোটযুদ্ধে পুরো প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপি ও জামায়াতের সমর্থন পেতে প্রার্থী শুরু করেছেন দেন দরবার, তদবির। দলের নীতিনির্ধারকদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন প্রার্থীরা।