আলমডাঙ্গার নতিডাঙ্গা আবাসনে নিজের মেয়েকে সৎ পিতার নিকট দেহ বিক্রির প্রস্তাব : তোলপাড়

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার নতিডাঙ্গা আবাসনের সাহারণ এখন পাষাণী মা হিসেবে পরিচিত। তিনি নিজের মেয়েকে অন্যের হাতে ফুর্তির সামগ্রী হিসেবে তুলে দিতে গিয়ে এ পরিচিতি পেয়েছেন। জনরোষে পড়ে শেষমেশ পাষাণী মা সাহারণ আর তার বর্তমান স্বামী কফিল সটকে পড়েছেন। ওই এলাকায় এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গার বাড়াদী ইউনিয়নের নতিডাঙ্গা আবাসন প্রকল্পে বসবাসকারী সাহারণ (৪০) কিছুদিন আগে একই উপজেলার গাংনী গ্রামের আনিছদ্দিনের ছেলে কফিল উদ্দিনের সাথে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সাহারণের ঘরে আছে বিবাহিত মেয়ে চম্পা। চম্পার ওপর নজর পড়ে তার সৎ পিতা কফিলের। কফিল নিজের স্ত্রী অর্থাৎ চম্পার মা সাহারণকে পটিয়ে ফেলে। চম্পাকে সৎ পিতার কাছে দেহ বিক্রির প্রস্তাব দেয় তার আপন মা। গত সোমবার রাতে দেয়া এ প্রস্তাব মেনে নিতে পারে না চম্পা। মায়ের ওপর তার ঘৃণা জন্মে। সে রাজি না হওয়ায় সৎ মেয়ে ও স্ত্রীর সামনে নতিডাঙ্গা গ্রামের এক কুমারীকে নিয়ে রাতভর ফুর্তি করেন কফিল। আবাসনের লোকজন টের পেয়ে তাদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়। চম্পা (১৯) জানায়, আমার মা ওইদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে আমাকেসহ আমার বান্ধবী চাঁদনীকে (১৬) ফুঁসলিয়ে নিমতলা প্রাইমারি স্কুলের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে মা আমাকে ও আমার বান্ধবীকে সৎ পিতা কফিলের হাতে তুলে দেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় আমি পালিয়ে আবাসনে চলে আসি। রাত ১২টার দিকে আমাকে আবারো সৎ পিতার সাথে অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দেয়। আমি রাজি না হলে, রাতেই ৫শ টাকার বিনিময়ে ফুঁসলিয়ে চাঁদনীকে আমার ও আমার মায়ের সামনে খারাপ কাজ করে ভণ্ড কফিল। রাতেই খবর পেয়ে আবাসনের বাসিন্দা চয়নসহ লোকজন এসে চাঁদনীকে উদ্ধার করে। সৎ পিতা কফিল পালিয়ে যায়। চম্পা আরো জানায়, টাকার বিনিময়ে তার মাও দেহ ব্যবসা করে এবং অন্য মেয়েকে দিয়ে দেহব্যবসা করায়। রোমহর্ষক এ ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় বুক ভাষায় চম্পা। সেই সাথে তার মা সাহারণ ও সৎ পিতা কফিলের শাস্তি দাবি করে। আবাসনের লোকজন জানায়, সাহারণের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ নতুন নয়। তাকে আবাসন থেকে বিতাড়িত করে উপযুক্ত শাস্তির জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সুদৃষ্টি কামনা করেছে তারা।