স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সাধারণ সদস্য পদ থেকে বহিষ্কৃত আলাউদ্দীন উমরের অভিযোগ অসত্য ও হাস্যকর বলে দাবি করে জেলা কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম শেখ এক বিবৃতিতে বলেছেন, গত ৩৩ বছরে ওই পদে দায়িত্ব পালন করেছেন কমরেড রমজান, কমরেড আতিয়ার, কমরেড শ্যামল সরকার। আমি সিরাজুল ইসলাম শেখ দায়িত্ব পালন করেছি কয়েক বছর। অথচ ৩৩ বছরের বানোয়াট অভিযোগ তুলে নিজেকে ফেরেস্তা বানাতে গিয়ে সাবেক নেতাদের অশ্রদ্ধার জায়গায় দাঁড় করিয়েছেন।
জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত সিরাজুল ইসলাম শেখের বিবৃতিতে বলা হয়, ৩৩ বছরের সাবেক সম্পাদকের সাথে যে দ্বন্দ্বের কথা উল্লেখ করে ১৬ কোটি ৫ লাখ টাকার হিসেব নিয়ে দ্বন্দ্বের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সে হিসেবে ৩৩ বছরে প্রতি বছর ৫ লাখ করে ১ কোটি ৬৫ রাখ টাকা হয়। ৩৩ বছর দায়িত্ব পালন যেহেতু আমি বা সাবেক কোনো নেতা এককভাবে দায়িত্ব পালেন করিনি বা করেননি সেহেতু অভিযোগ হাস্যকর নয়কি। তাছাড়া আলাউদ্দীন তো ৩৩ বছর এ পার্টি করেননি। তিনি ১৯৯২ সালে আনিস ভাইয়ের ওপর আক্রমণের সময় টিপু বিশ্বাসের গণফ্রন্টে চলে যান। ১৯৯৬ সালে আব্দুল হকের বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টিতে চলে যান। ২০০০ সালের দিকে ডেয়ার নামের এক এনজিও করেন। ২০০৮ সালে আবার পিটিতে আত্মসমালোচনা করে লিখিত দিয়ে পার্টিতে আসেন। ২০১১ সালে পাটির জেলা কমিটির সাধারণ সদস্য হিসেবে আসেন। ২০১৪ সালের এপ্রিলে জেলা সম্মেলনে তিনি সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন। এরপর বই, চেয়ার ও পার্টির তহবিল থেকে ২৫ হাজার টাকাসহ মোটরসাইকেল ব্যবহারের জন্য নিয়ে ফেরত না দেয়াসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত হন। কেন্দ্রীয় কমিটির গঠিত এক সদস্যের কমিটি দু দফা তদন্ত শেষে যে প্রতিবেদন দেয়, তার ভিত্তিতেই আলাউদ্দীনকে চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটি ও সাধারণ সদস্য পদ থেকে জেলা কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বহিষ্কার করা হয়। আর এ কারণেই তিনি বানোয়াট অভিযোগ তুলেছেন।