প্রশ্নপত্র সঙ্কটের কথা বলে একই স্থানে ১১ পরীক্ষার্থীকে বসিয়ে পরীক্ষা গ্রহণ : বহিষ্কার
স্টাফ রিপোর্টার: শুধু বহিষ্কৃত এসএসসি পরীক্ষার্থীরা নয়, তাদের আন্দোলনের সাথে যুক্ত হয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকদের অনেকে। খাসকররা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকমণ্ডলীও আন্দোলন কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন। আন্দোলনের পাশাপাশি আইনগত পদক্ষেপ নেয়ারও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে বিদ্যালয়সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, গত শুক্রবার চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সিগঞ্জ একাডেমী কেন্দ্রে ১১ জন পরীক্ষার্থীকে আসন পরিবর্তন করে পরীক্ষা নেয়া শুরু করার এক পর্যায়ে উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি জানতে পারে। প্রশাসনের নির্দেশে পুলিশ এ ১১ পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্র থেকে বাইরে নেয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপস্থিতিতে চুয়াডাঙ্গা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওই ১১ পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা থেকে বহিষ্কারের আদেশ দেন। দুজন শিক্ষককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডাদেশসহ কারাদণ্ডও দেয়া হয়। অবশ্য মুচলেকা দিয়ে কারাদণ্ড থেকে রেহাই পান দু শিক্ষক। বিদ্যালয়সূত্র এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, প্রশ্নপত্র কম থাকায় পরীক্ষার্থীদের নির্ধারিত আসন থেকে সরিয়ে খাসকররার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ জনসহ মোট ১১ পরীক্ষাথীকে একই স্থানে বসিয়ে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত দেন হলসুপার। পরীক্ষা গ্রহণের এক পর্যায়ে প্রশাসনিকভাবে পদক্ষেপ নেয়া হয়।
প্রশাসনিক এ পদক্ষেপের বিরুদ্ধেই শুরু হয়েছে আন্দোলন। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় খাসকররা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়। এতে শিক্ষার্থী, পরীক্ষার্থী অভিভাবকসহ কিছু শিক্ষক অংশ নেন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শনিবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা শহীদ হাসান চত্বরে বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থী সুজন আলী, মোস্তাফিজুর রহমান, মামুন আলী, জুয়েল রানা, সাগর আলী, আবু কাউছার ও শোভন আলী। এদের সাথে মানববন্ধন কর্মসূচিতে সাধারণ শিক্ষার্থী ছিলো। আজ রোববার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে। এ তথ্য জানিয়ে আন্দোলনকারীরা বলেছে, গতকাল বিদ্যালয়ে শিক্ষক-অভিভাবকদের বৈঠকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।