চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক

ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য সকলকে বিজ্ঞান মনষ্ক হতে হবে

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় ৩৬তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তা উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত তিন দিনব্যাপি মেলা সম্পন্ন হয়েছে। জেলা শিল্পকলা একাডেমী চত্বরে গতকাল শনিবার বিকেলে সমাপনী অনুষ্ঠানে আলোচনাসভা ও পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে এ মেলা সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক বলেন, বিজ্ঞান শিক্ষা ছাড়া তথ্য প্রযুক্তির প্রসার সম্ভব নয়। সরকার ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়ন এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য সকলকে বিজ্ঞান মনষ্ক হতে হবে। তিনি আরও বলেন, আজকের প্রজন্ম যাতে বিজ্ঞানচর্চার সুযোগ লাভ করতে পারে তার পরিবেশ তৈরির ব্যবস্থা করতে হবে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মল্লিক সাঈদ মাহবুবের সভাপতিত্ব বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষ ও আইসিটি) আব্দুর রাজ্জাক, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. আজিজুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ খন্দকার কামরুজ্জামান, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।

চুয়াডাঙ্গা শিল্পকলা একাডেমী প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত মেলায় জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা ২২টি স্টলে তাদের তৈরি প্রজেক্ট প্রদর্শন করে। ক্ষুদে বিজ্ঞানীদেরে প্রজেক্ট প্রদর্শনীতে সিনিয়র গ্রুপে প্রথম স্থান অধিকার করেছে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ। তাদের প্রজেক্ট ছিলো আন্ডার গ্রাউন্ড সিকিরিউটি ব্যাংক। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে আলমডাঙ্গা হারদী মীর শামসুল ইসলাম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট। তাদের প্রজেক্ট ছিলো প্রোটেকশন হাউজ এবং টিপকলের সাহায্যে বিদ্যুত উৎপাদন করে তৃতীয় হয়েছে চুয়াডাঙ্গা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট। জুনিয়র গ্রুপে আধুনিক মাথাভাঙ্গা ব্রিজ তৈরিতে করে প্রথম স্থান অধিকার করেছে চুয়াডাঙ্গা ভি.জে উচ্চ বিদ্যালয়, দ্বিতীয় হয়েছে কেরু উচ্চ বিদ্যালয়। তাদের প্রজেক্ট ছিলো ফ্লু গ্যাস ডিসলেফারাইজেশন। তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে সরোজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়। তাদের প্রজেক্ট ছিলো মোবাইল ডিসপ্লে। বিশেষ গ্রুপে মোটরসাইকেলের অটোমেটিক সিকিরিউটি লক তৈরি করে প্রথম স্থান হয়েছে চুয়াডাঙ্গা যুব উন্নয়ন ও দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে বিজ্ঞান ক্লাব। তাদের প্রজেক্ট ছিলো পাতা দিয়ে কৃত্রিম কাঠ তৈরি।

মেলার দ্বিতীয় দিন বির্তক প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠিত হয়। সিনিয়র গ্রুপে বিষয় ছিলো ডিজিটাল প্রযুক্তি বাংলাদেশের একমাত্র উপায়। পক্ষে দল চুয়াডাঙ্গা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট বিপক্ষ দল চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ। বিজয়ী হয়েছে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ। জুনিয়র গ্রুপে বিষয় ছিলো বিজ্ঞান গবেষণা মানব সভ্যতায় আর্শীবাদ না অভিশাপ। এ বিষয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, দ্বিতীয় ভি.জে উচ্চ বিদ্যালয় ও তৃতীয় হয়েছে ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। উপস্থিত বক্তব্যে সিনিয়র গ্রুপে প্রথম স্থান অধিকার করেছে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের আসিফ রাগীব, দ্বিতীয় একই কলেজের এমএম মুনতাসির ও তৃতীয় হয়েছে মাহফুজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্রজেক্ট প্রদর্শন, বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও উপস্থিত বক্তৃতায় সেরাদের মাঝে পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন এনডিসি মুনিবুর রহমান।