প্রথম পুরস্কার পেলো নিলো দৌলাতদিয়াড়ের মা এগ্রো
স্টাফ রিপোর্টার: উন্নত জাতের উচ্চ ফলনশীল ধান কিংবা অন্যান্য ফসল উৎপাদনে প্রযুক্তিকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। এক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর কৃষি উপকরণ ব্যবহার করা প্রয়োজন। আমাদের দেশে নতুন নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে চাষাবাদ করে দেশকে খাদ্য ঘাটতি থেকে দূর করতে সক্ষম হয়েছি। আগে অন্য দেশ থেকে খাদ্য আমদানি করতো আর বর্তমানে দেশে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই। এসব সম্ভব হয়েছে বেকল নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে। এভাবে দেশ উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে। উপরোক্ত কথাগুলো বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন। তিনি গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে শিল্পকলা একাডেমী চত্বরে সমন্বিত মুজিবনগর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষি ও প্রযুক্তি মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। মেলায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে তিন ভাগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এবারও মেলায় আর্কষণীয় স্টল দিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে চুয়াডাঙ্গা দৌলাতদিয়াড়ের মা এগ্রো কেঁচো সার (ভার্মিকম্পোস্ট) ও চুয়াডাঙ্গা কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) দ্বিতীয় হয়েছে যথাক্রমে চুয়াডাঙ্গা সোলার-ই-টেনোলোজি, মেটাল প্রাইভেট লিমিটেড ও গ্রিনভ্যালি এগ্রো সিড এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে যে সব প্রতিষ্ঠান সেগুলো হলো- একক আলাপ, ইস্পাহানি এগ্রো লিমিটেড, পুষ্পকানন, হেকেম বাংলাদেশ লিমিটেড, আয়ুব এগ্রো ট্রেডিং ও ইনতেফা। এছাড়াও মেলায় পণ্য প্রদর্শন করেও পুরস্কার হাতে তুলে নিয়েছেন শতাধিক কৃষক।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে গত ২২ ফেব্রুয়ারি তিনব্যাপি এ মেলা শুরু হয়। গতকাল শেষ দিনে সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তের উপপরিচালক কৃষিবিদ নির্মল কুমার দে। দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার সুফি মো. রফিকুজ্জামানের উপস্থাপনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কোহিনুর ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান, জেলা কৃষি প্রশিক্ষণ অফিসার আব্দুল লতিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন দৌলাতদিয়াড় মা এগ্রো ভার্মি কম্পোস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহফুজুর রহমান মাফুজ।
চুয়াডাঙ্গায় কৃষি ও প্রযুক্তি মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী সম্পন্ন
