স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অবরোধ-হরতাল চালিয়ে অসাংবিধানিক কোনো শক্তিকে এখন আর ক্ষমতায় আনা যাবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) উত্তরপাড়ার দিকে তাকিয়ে আছেন। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন না। মনে করছেন ওখান থেকে কেউ এসে ওনাকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। যাদের আশায় বসে আছেন, তারা জানে এভাবে ক্ষমতায় এলে তার পরিণতি কি হয়। সংবিধান সংশোধন করে ক্যাপিটাল পানিশমেন্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জিয়া, এরশাদ, মইনুদ্দীন আর ফখরুদ্দীনের পরিণতি সবাই দেখেছে। ওই আগুনে কেউ পা দিতে আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি না। গতকাল রোববার বিকালে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনের আলোচনা সভায় অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। এ সময় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, সুদ-ঘুষখোরদের দিয়ে বাংলার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না। মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করলে আমরা করব। আমরা করি, আওয়ামী লীগ করে। এসএসসি পরীক্ষার জন্য হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহার করতে খালেদা জিয়াকে আহ্বান না করায় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের কঠোর সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় ড. কামাল হোসেন, মাহমুদুর রহমান মান্নার নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেকেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে শোক প্রকাশ করেছেন। আমরা আশা করেছিলাম তারা হয়তো পরীক্ষার কথা বলে হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহারের কথা বলবেন। কিন্তু আমরা অবাক হলাম যারা টেলিভিশনের সামনে এতো নীতিবাক্য ঝাড়েন, টেলিভিশন ফাটিয়ে দেন তারা কোনো কথা বললেন না। শুনি ১৩ জনের তালিকা করা হয়েছে, যারা আবার আমাদের সরকারের সময় তদবির করে কেবিনেট সেক্রেটারি হন, তারাই এখন আমাদের বড় বড় সবক দিচ্ছেন। আর আমাদের তাদের সবক শুনতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে তাণ্ডব ও গণহত্যা চালিয়েছিলো সেই একই কায়দায় খালেদা জিয়া আজ গণহত্যা চালাচ্ছেন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী করে গেছে, এখন খালেদার বাহিনী করছে। জনগণের এ আন্দোলনের সাথে কোনো সম্পৃক্ততা নেই।