ওয়েভ ফাউন্ডেশন ও জেলা লোকমোর্চার উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গা লোকমোর্চার ১০ প্রতিনিধিকে সম্মাননা প্রদান
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা লোকমোর্চার ১০ জন প্রতিনিধিকে বিভিন্ন অঙ্গনে সাফল্যে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়েভ ফাউন্ডেশন ও জেলা লোকমোর্চার যৌথ আয়োজনে গতকাল বুধবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সম্মাননার আয়োজন করা হয়।
জেলা লোকমোর্চার সভাপতি অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলার পুলিশ সুপার মো. রশীদুল হাসান, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি মাহতাব উদ্দিন ও ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উপনির্বাহী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন। ওয়েভের প্রোগ্রাম অফিসার নুঝাত পারভীনের সঞ্চালনায় সম্মাননা অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন জীবননগর উপজেলা লোকমোর্চার সভাপতি আবুল কালাম আজাদ।
সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন- জেলা লোকমোর্চার সভাপতি সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক প্রথম আলো চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি শাহ আলম সনি, সাংগঠনিক সম্পাদক সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর বেগম, নির্বাহী সদস্য জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এমএম শাহজাহান মুকুল, নির্বাহী সদস্য জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হেদায়েত হোসেন আসলাম, জীবননগর উপজেলা লোকমোর্চার সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকী, সহসভাপতি সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফারাহানা আক্তার রিনি, আলমডাঙ্গা উপজেলা লোকমোর্চার সদস্য উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আরা এবং দামুড়হুদা উপজেলা লোকমোর্চার সভাপতি হাউলী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী শাহ মিন্টু।
সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন বলেন, জনগণের দেয়া সম্মান সবচেয়ে বড় মর্যাদা। সম্মানিত ব্যক্তির দায়িত্ব তার সম্মান রক্ষা করা। কাউকে সম্মাননা জানানো মানে তার দায়িত্ব আরো বেড়ে যাওয়া। লোকমোর্চার সদস্যদের সম্মাননা জানিয়ে দায়িত্ব বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের খেয়াল রাখতে হবে, সালিসের নামে যেন কোনো আপস-মীমাংসা করা না হয়। অপরাধীরা যাতে শাস্তি পায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। জেলায় শেল্টার হোম স্থাপনের সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা চলছে।
পুলিশ সুপার মো. রশীদুল হাসান বলেন, পুলিশের চেয়ে জনপ্রতিনিধি ও সামাজিক নেতৃবৃন্দের কাজ করার সুযোগ বেশি। জমি ও নারীঘটিত কারণে বেশির ভাগ অপরাধ হয়ে থাকে। সকলে মিলে কাজ করলেই অপরাধ প্রবণতা কমে যাবে।
মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার লোকমোর্চার কাজের প্রশংসা করে বলেন, সকল প্রকার অসঙ্গতির বিরুদ্ধে লোকমোর্চা কাজ করে যাচ্ছে। সামাজিক বিভিন্ন কাজের পাশাপাশি পৌর এলাকার নানা সমস্যার কথা কর্তৃপক্ষকে জানানোসহ অনেক শুভ কাজের সাথে রয়েছে।