খালেদার গুলশান কার্যালয়ে খাবার নিতে পুলিশের বাধা

 

স্টাফ রিপোর্টার: দ্বিতীয় দিনের মতো বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে খাবার সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। গত বুধবারের পর বৃহস্পতিবার সকাল ও দুপুরে গুলশান কার্যালয়ের জন্য আনা খাবারের গাড়ি ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। ফলে কার্যালয়ে অবস্থানরত অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী-কর্মচারী অভুক্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। এ অবস্থাকে সরকারের ভাতে ও পানিতে মারার নীতি দাবি করেছে বিএনপি।

গত বৃহস্পতিবার সরেজমিন বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, গতকালও সকাল থেকে কার্যালয়ে প্রবেশে কড়াকড়ি বাড়ানো হয়েছে। সাংবাদিকদের পর্যন্ত কার্যালয়ে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। সকাল ও দুপুরে গুলশান কার্যালয়ের জন্য আনা খাবারের গাড়ি খাবারও ফিরিয়ে দেয় পুলিশ। অবশ্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্য আত্মীয়-স্বজনের আনা খাবার প্রবেশে বাধা দেয়া হয়নি। সকালে রুটি-পরোটা ও ভাজির নাস্তার প্যাকেট নিয়ে ঠেলাগাড়ি গেলে শাদা পোশাকে পুলিশ তাদের ফিরিয়ে দেয়। একইভাবে দুপুর আড়াইটার দিকে খাবার নিয়ে গেলে তাও ফিরিয়ে দেয়া হয়। কার্যালয়ের সামনে পুলিশের বিশেষ শাখার তিনজন কর্মকর্তা সার্বক্ষণিক অবস্থান করছেন। তারা খাবার গেলে তা ফিরিয়ে দেন। তাদের কাছে জানতে চাইলে বলছেন, ভেতরে কোনো খাবার যাবে না, ওপরের নির্দেশ আছে।

সবার জন্য আসা খাবার প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বিএনপি চেয়ারপারসনের খাবার প্রবেশে বাধা দেয়া হয়নি। ধানমণ্ডিতে তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমানের মা সৈয়দা ইকবালমান্দ বানুর বাসা কিংবা বেগম জিয়ার সেজ বোন সেলিনা রহমান ও দু ভাইয়ের বাসা থেকে আসছে তার খাবার। গতকালও ধানমণ্ডির বাসা থেকে সকালের নাস্ত আনা হয়।

গত ৩ জানুয়ারি থেকে খালেদা জিয়া এ কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। তার সাথে দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল কাইয়ুম, প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মাহবুব আলম ডিউ, নিরাপত্তা সমন্বয়কারী আবদুল মজিদসহ ৫০/৬০ জন নেতাকর্মী ও অফিস কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন।

নিরাপত্তাকর্মীরা জানান, তারা এখন মুড়ি, বিস্কুটসহ শুকনো খাবার খাচ্ছেন। কার্যালয়ের ভেতরে এতোবেশি মানুষের খাবার রান্নার ব্যবস্থা নেই। বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন, বুধবার রাত থেকে এখনো ভাত ছাড়াই থাকতে হয়েছে। রাতে ম্যাডাম তাদের খোঁজখবর নিয়েছেন। ওনার কাছে থাকা কিছু খুরমা-খেজুর আর মুড়ি পাঠিয়েছেন। সেগুলো খেয়েই রাত কেটেছে তাদের।

Leave a comment