এমনিতেই এবার এসএসসিসহ সমমানের পরীক্ষার্থীদের চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়তে হয়েছে। কোন পরীক্ষা কবে হবে তা নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠার শেষ নেই। অথচ পরীক্ষার্থীদের সময়সূচি নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকার কথা নয়। তারা সময়সূচি অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে পারছে না। এর মাঝে চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার দর্শনা পরীক্ষা কেন্দ্রের ৫ পরীক্ষার্থীকে এক বছর আগের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ গুরুতর। কারণ, ৫ পরীক্ষার্থীর শুধু একটি বছরই নয়, তাদের লেখাপড়ার ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়ার শঙ্কা। যা জীবন নিয়ে-ই হেয়ালিপনার শামিল।
দর্শনা পরীক্ষা কেন্দ্রের ৫ পরীক্ষার্থীর অভিযোগ, তারা গত শনিবার বাংলা দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষা দেয়ার জন্য নির্ধারিত আসনে বসে। তাদের হাতে যে প্রশ্নপত্র দেয়া হয়, তা দেখেই উত্তরপত্র প্রস্তুত করে। শেষে জানতে পারে তাদের হাতে যে প্রশ্নপত্র দেয়া হয়েছিলো তা এ বছরের নয়, এক বছর আগের। গতকাল দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিবের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে। তিনি শিক্ষাবোর্ডে যোগাযোগ করেছেন বলে জানিয়ে অভিযোগ উত্থাপনকারীদের থামাতে চেয়েছেন। অবশ্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি দেখছেন বলে জানিয়েছেন। আর শিক্ষা অফিসার? তিনি বিষয়টি শোনেননি। এ পরিস্থিতিতে ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দেয়া ৫ পরীক্ষার্থীর কী হবে? কেন পরীক্ষার্থীদের হাতে ভুল প্রশ্ন?
অবশ্যই অভিযোগকারীদের অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে হবে। অভিযুক্তেরও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ তার অধিকার। তাই বলে ভুল হয়ে গেছে অজুহাতে অতো বড় ঘটনাকে কি ধামাচাপা দেয়া সঙ্গত? তদন্ত অনিবার্য। সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ যেমন জরুরি, তেমনই জরুরি ভুল প্রশ্নের শিকার ৫ পরীক্ষার্থীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া। পরীক্ষার প্রশ্ন কেন পরীক্ষার্থীরা যাচাই করেনি, কোন সালের প্রশ্ন তা কেন দেখেনি? এ ধরনের নানাবিধ প্রশ্ন উঠতেই পারে। এসব প্রশ্নের আড়ালে যেন প্রকৃত দোষী পার না পায় সেদিকে বিশেষ বাড়তি নজর আগামীদিনগুলোকে সুন্দর করবে।