খাইরুজ্জামান সেতু: চলছে শুষ্ক মরসুম। আগুনের সময়। ফেব্রুয়ারি প্রথম সপ্তা পার হলেও আগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এবার বিশেষ সপ্তা উদযাপনের কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়নি। তবে রাজপথে বাসে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপে একের পর এক প্রাণহানিরোধে প্রতিটি বাসে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রাখার নিদের্শনা দেয়া হয়েছে। গত ২২ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিটি পরিবহনে এ যন্ত্র রাখার বাধ্যবধকতার তাগিদ দেয়া হলেও গতকাল পর্যন্ত বাসে এ যন্ত্র রাখার তেমন উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি।
জানা গেছে, চলতি সপ্তায় তথা গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা জেলায় পৃথক স্থানে ১৪টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। জীবননগরে একাধিক বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। চুয়াডাঙ্গায় অবশ্য এতে প্রাণহানি হয়নি। চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স দফতরসূত্র বলেছে, সারাদেশে পরিবহনে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপের প্রেক্ষিতে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক চুয়াডাঙ্গা ফায়ার স্টেশন থেকে শুরু করে সকল ফায়ার স্টেশনের মাধ্যমে সকল পরিবহনে অগ্নিনির্বাক যন্ত্র রাখার তাগিদ দেয়া হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে গত ২২ জানুয়ারির মধ্যে চুয়াডাঙ্গার সকল পরিবহনে অগ্নিনির্বাক যন্ত্র রাখার জন্য বাসমালিক সমিতিগুলোকে নোটিশ দেয়া হয়। নোটিশ দেয়া হলেও বাসে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রাখার তেমন উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।