স্টাফ রিপোর্টার: মতিঝিলে কৃষক-শ্রমিক-জনতালীগের অবস্থান মঞ্চ ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশ এসে অবস্থান কর্মসূচির অস্থায়ী মঞ্চ ভেঙে দেয় এবং ব্যানার-ফেস্টুনগুলো নিয়ে যায়। এরপর মঞ্চ না পেয়ে ফুটপাতেই মাদুর বিছিয়ে বসে পড়েন এ মুক্তিযোদ্ধা। এ সময় তার সাথে অর্ধশত নেতাকর্মী ছিলেন। বিকেলে এ বিষয়ে কাদের সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, যে মানুষটি জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে, শান্তির জন্য যে মানুষটি ১০ বছর যাবত রাস্তায়, সরকার তার সাথে আলোচনা না করে উল্টো তস্করের মতো আচরণ শুরু করেছে। চোরের মতো আমার সকল জিনিসপত্র নিয়ে গেছে। তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলন অহিংস ও শান্তিপূর্ণ। মঞ্চ ভেঙে ফেলার ঘটনার জন্য নিন্দা জানিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, সরকারের পুলিশ টয়লেটও ভেঙে দিয়েছে। সরকারের যদি টয়লেট লাগে নিক। এর আগে দুপুরে কাদের সিদ্দিকীসহ অন্য নেতাকর্মীরা জুমার নামাজ পড়তে গেলে পুলিশ এসে অস্থায়ী মঞ্চ ভেঙে দেয়। ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে যায়। এ সময় মঞ্চের সামনে রাখা চেয়ারগুলো সরিয়ে ফেলে পুলিশ।
এ বিষয়ে মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিএম ফরমান আলী বলেন, কাদের সিদ্দিকী পুলিশের কাছে অনুমতি না নিয়ে মতিঝিলে অবস্থান করছিলেন। কৃষক-শ্রমিক-জনতালীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংলাপ আয়োজন ও অবরোধ প্রত্যাহারের দাবিতে গত ২৮ জানুয়ারি থেকে কাদের সিদ্দিকী অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে অবস্থান কর্মসূচি থেকে দলটির ছয়জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা হলেন- কাদের সিদ্দিকীর ব্যক্তিগত সহকারী ফরিদ আহমেদ, ছাত্রনেতা কাওসার জামান খান, আলমগীর হোসেন, যুবনেতা আবদুর রাজ্জাক, টিপু সুলতান ও রোকন। মতিঝিল থানার এসআই শামীম জানান, তারা কাদের সিদ্দিকীর লোক কি-না, জানি না। ৫৪ ধারার ক্ষমতাবলে তাদের রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে আসা হয়েছে।