মাথাভাঙ্গা মনিটর: তাইওয়ানে ৫৮ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত ট্রান্স এশিয়ার বিমানের দু ইঞ্জিনেই বিদ্যুত সঞ্চালন না হওয়ায় এটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানটির ব্ল্যাক বক্স থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। তাইওয়ানের বিমান নিরাপত্তা পরিষদ বলেছে, বিমানটি উড্ডয়নের পরপরই এর ইঞ্জিনগুলো দু মিনিট পরযন্ত প্রয়োজনীয় শক্তি জোগাতে পারেনি। ব্ল্যাক বক্স থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, বিমানের ক্রু একটি ইঞ্জিন বন্ধ করে আরেকটি ইঞ্জিন চালু করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেটিও কাজ করেনি। তাইপেতে এক ব্রিফিংয়ে তদন্তকারীরা বলেছেন, তাইপের সংশান বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের মাত্র ৩৭ সেকেন্ড পর বিমানটি বিপত্তিতে পড়ে। বিমান নিরাপত্তা পরিষদের পরিচালক থমাস ওয়াং বলেছেন, পাইলট বিমানে আগুন ধরে যাওয়ার আভাস দিয়েছিলেন। পরে বিমানটি ১২০০ ফুট ওপরে যাওয়ার পর এর একটি ইঞ্জিনে আগুন ধরে যাওয়ার সঙ্কেত পাওয়া যায়। আর তখন আপনা থেকেই বন্ধ হয়ে যায় অপর ইঞ্জিনটি। পাইলট সেটি ফের চালু করার চেষ্টা করেও সফল হয়নি। এর পর হচ্ছে, বিমানটি ওড়ার শেষ সময়ে কোনো ইঞ্জিনই প্রয়োজনীয় শক্তি যোগান দিতে পারেনি। ওয়াং বলেন, বিমানটি একটি ইঞ্জিনের সাহায্যেই উড়তে সক্ষম। কিন্তু অপর ইঞ্জিনটি কেন বন্ধ হয়ে গেলো সেটি পরিষ্কার জানা যায়নি। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে বিমান বিধ্বস্তের আরো বস্তুনিষ্ঠ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন ওয়াঙ। এর পরের তিন অথবা ছয়মাসে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি। ৫৮ জন আরোহী বহনকারী এ বিমানটি গোত্তা খেয়ে নদীতে পড়ে অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়।