স্টাফ রিপোর্টার: মোবাইলফোনে প্রেমের টানে রাজবাড়ী থেকে আলমডাঙ্গার নতিডাঙ্গা গ্রামে উপস্থিত হয়ে ৩ দিন ধরে আটকের পর বিয়ে করতে বাধ্য সেনা সদস্য নববধূকে একদিনের মাথায় তালাক দিয়েছেন। ৮০ হাজার টাকায় রফা হলেও ধান্দাবাজদের পকেটে গেছে ২৫ হাজার টাকা।
এলাকাসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বাড়াদী ইউনিয়নের নতিডাঙ্গা গ্রামের মুনসুরের স্কুলপড়ুয়া মেয়ে সুমি খাতুনের সাথে রাজবাড়ী জেলার বগুড়া সেনা নিবাসের সেনা সদস্য জাহিদুলের মোবাইলফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মুন্সিগঞ্জ বাজারের ফলব্যবসায়ী সেনা সদস্যের আত্মীয় কুটি বাঙালের মাধ্যমে গত কয়েক বছর ধরে দেখাদেখির বিষয়টা সেরে ফেলে প্রেমিক জুটি। কয়েক বছর ধরে মন দেয়া-নেয়ার পর গত শুক্রবার নতিডাঙ্গা গ্রামে জাহিদুল সুমির সাথে দেখা করতে আসে সেনা সদস্য। সুমির পরিবারের লোকজন জাহিদুলকে আটকে রেখে নতিডাঙ্গা গ্রামের ফারুক কাজির মাধ্যমে বিয়ে পড়িয়ে দেয়। পরের দিন রোববার সুমির পরিবারের লোকজন খোঁজ নিয়ে জানতে পারে সেনা সদস্য জাহিদুলের স্ত্রী সন্তান রয়েছে। সুমি বেঁকে বসে। গতকাল সকালে স্থানীয় মণ্ডলদের মাধ্যমে ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে সেনা সদস্য জাহিদুলকে তালাক দেয় সুমি। গতকাল মাথাভাঙ্গা দপ্তরে মোবাইলফোনে একাধিকবার এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানায়, ৮০ হাজার টাকায় রফা হলেও সুমির পরিবার পেয়েছে ৫৫ হাজার টাকা। বাকি ২৫ হাজার গিয়েছে ধান্দাবাজদের পকেটে। গতকাল সন্ধ্যায় ধান্দাবাজখ্যাত মাতবরেরা মুন্সিগঞ্জ পানহাটে টাকা ভাগাভাগি করছে বলে অনেকেই দেখেছে।