স্টাফ রিপোর্টার: কথায় আছে বিয়ে হলো প্রেমের কবর। এটি কি শুধুই কথার কথা নাকি সত্যিই বিয়ের পর প্রেমের সুখ শেষ হয়ে যায়? দুজনের প্রেম তাজা রাখার উপায় নিয়ে তাই গবেষণারও শেষ নেই। মাঝেমধ্যেই আমরা কাজ নিয়ে এতোটাই ব্যস্ত হয়ে পড়ি যে ভালবাসার মানুষটি হয়তো ভেবেই বসে বিয়ের পর লোকজন বদলে যায়। বিয়ের আগের রোমান্টিকতা আর খুঁজে পাওয়া যায় না। জীবনে রোমান্টিকতা ধরে রাখতে নিচের দশটি পরামর্শ কাজে লাগাতে পারেন।
মানসম্মত সময় ব্যয় করুন: অনেক সময় আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাড়িতে থেকেও একে অপরের সাথে কথা বলি না। সে সময় হয়তো দুজনই নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত থাকি। খেয়াল রাখতে হবে, বাড়িতে থাকার সময় চুপচাপ যেন সময় না কেটে যায়।
সময় নিয়ে ঘুরতে যান: যদি ছোট সন্তান থাকে তাহলে একটি বেবি সিটারে বাচ্চাকে বসিয়ে ঘুরতে বের হোন। খেলাধুলা পছন্দ হলে খেলতে পারেন ব্যাডমিন্টন।
রান্না করুন একসাথে: কারও মন জয় করতে হলে খাবার হলো সবচেয়ে সহজ মাধ্যম। তাই রেস্টুরেন্টে যাওয়ার চেয়ে একসাথে রান্না করেও দেখতে পারেন। খুব সুন্দর সময় কেটে যাবে নিশ্চিত। এছাড়াও আপনার সঙ্গীর পছন্দের খাবার অর্ডার করে নিয়ে আসতে পারেন বাসায়।
প্রেমপত্র লিখুন: বাসায় সুন্দর একটি খামে প্রেমপত্র লিখে রেখে আসতে পারেন আপনার মনের মানুষটির জন্য। আপনার মনের মাঝে যে তিনি বিশেষ যায়গা নিয়ে রয়েছেন তা জানানোর সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হতে পারে চিঠি।
ভালবাসার কথা প্রকাশ করুন: ভালবাসার কথা মনের মধ্যে গোপন না রেখে তা নিয়মিত প্রকাশ করুন। প্রতিদিন কয়েকবার জানিয়ে দিতে পারেন আপনার ভালবাসার কথা।
সঙ্গীর প্রতি মনযোগী হোন: একে অপরের ভক্তে হওয়ার চেয়ে রোমান্টিক কিছু হতে পারে না। তার পরিশ্রম ও কাজের প্রশংসা করুন। একজনের কাজ বা কথা কারো মনোযোগের বিষয় তা নিশ্চয় খুব ভাল লাগার মত ব্যাপার। একে অপরের পছন্দের প্রশংসা করুন।
ঘুরতে যাওয়ার চমক দিন: সারপ্রাইজ পছন্দ করে না এমন মানুষ পাওয়া বিরল। হঠাত কোথাও বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে দিয়ে চমক দিতে পারেন।
একসাথে সময় কাটানোর উপায় খুঁজে বের করুন: এটা হতে পারে এক সাথে শপিং কিংবা কোন রেস্টুরেন্টে ক্যান্ডেল লাইট ডিনার। এক সাথে সময় কাটানোর এটাই হতে পারে সেরা উপায়।
বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে দিন: এক সাথে তো সময় কাটাবেনই, সেই সাথে একে অপরকে নিজ নিজ বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়ার সুযোগ দিন। বন্ধুদের সাথে আড্ডার সময় ফোন করে যেন বিরক্তির সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।
কাজের প্রশংসা করুন: একে পরের কাজে সাহায্যের সাথে সাথে প্রশংসাও করুন। আর প্রশংসা পেতে কার না ভাল লাগে?