হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ : ময়নাতদন্ত শেষে দাফন
কুড়–লগাছি/ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: দামুড়হুদার চাকুলিয়ায় দু সন্তানের জননী গৃহবধূ আত্মহত্যা নিয়ে নানা গুঞ্জন উঠেছে। হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রজালের। গৃহবধূর স্বামীপক্ষ আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করলেও মেয়েপক্ষ বলেছে তাকে হত্যা করে ঘরের আড়ায় ঝুলিয়ে রাখা হয়। পুলিশ লালনের লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালমর্গে পাঠিয়েছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষে হুদাপাড়ার গ্রামের আবেদ আলী মেয়ে লালনের (৩২) সাথে ১০ বছর আগে বিয়ে করে কুড়–লগাছি ইউনিয়নের চাকুলিয়া গ্রামের দৌলত টেংরার ছেলে বকুলের বিবাহ হয়। নাইম (৭) ও বর্ষা (৪) নামের তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে নিজ ঘরের আড়ায় তার ঝুলন্ত লাশ দেখে প্রতিবেশীদের খবর দেয়। খবর দেয়া হয় পুলিশকে গতকাল শুক্রবার পুলিশ লালনের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয় ময়নাতদন্তের জন্য। এদিকে লালনের স্বামী বকুল ও তার পরিবারের লোকজন লালন আত্মহত্যা করেছে বলে জানালেও তা শুনতে নারাজ লালনের পরিবারের লোকজন। তাদের অভিযোগ লালনকে শারীরিক নির্যাতন শেষে হত্যা করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে চেষ্টা চালানো হয়েছে। তাদের দাবি বকুলের উপযুক্ত শাস্তি হোক, সচেতনমহল মনে করে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যাবস্থা নেয়া প্রয়োজন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ময়নাতদন্ত শেষে রাত ১০টার দিকে লালনের লাশ স্থানীয় কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।