আন্দুলবাড়িয়ায় জমির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে সংঘর্ষ

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: জমির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে গ্রামের দু প্রভাবশালী ব্যক্তির মধ্যে জবরদস্তি ধস্তাধস্তির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। গত সোমবার সকালে জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামে প্রথম দফায় দু প্রভাবশালী ব্যক্তির মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনার সূত্রপাত নিয়ে রাতে দ্বিতীয় দফা চোরাগুপ্ত হামলা চালিয়ে আহত করায় ক্ষুব্ধ সমর্থকরা প্রতিপক্ষের বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়েছে। হামলা পাল্টা হামলার ঘটনায় উভয়পক্ষের সমর্থকদের মাঝে উত্তোজনা দেখা দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আহতকে উদ্ধার করে জীবননগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য গতকাল তাকে যশোর নেয়া হয়েছে বলে পরিবারের সদস্যরা দাবি করছেন। তবে তিনি আশঙ্কামুক্ত বলে জীবননগর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সেসূত্রে জানা গেছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, অনন্তপুর গ্রামের মৃত মফিজদ্দিন মিয়া ছেলে সামছুল হুদা তার বাড়ির অদূরে দাসপাড়ায় নিজ বাঁশঁবাগানের জমি বেড়া দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ভোগ দখল করে আসছেন। একই গ্রামের মৃত মুন্নাফ বিশ্বাসের ছেলে আন্দুলবাড়িয়া বাজারের বিশিষ্ট ছিট-কাপড় ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান ওরফে লালু বিশ্বাস গত সোমবার সকালে তার কিছু জমি জবর-দখল করে নেয়ার অভিয়োগ তোলেন সামসুল হুদার বিরুদ্ধে। তিনি দখলদারকে দখলীয় জমি ছেড়ে দেয়ার দাবি জানান। উভয়পক্ষদ্বয় পাশাপাশি জমির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে কথা কাটাকাটি ও তর্ক-বির্তকের এক পর্যায়ে ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় শারীরিকভাবে একে অপরকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটে। সূত্র জানায়, গ্রামের দু প্রভাবশালী ব্যক্তির ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতির সৃষ্ট ঘটনাকালে স্থানীয় উপস্থিত জনতা উভয়পক্ষকে নিবৃত করেন। এ ঘটনায় দিনভর গ্রামে উভায় গোষ্ঠী ও সর্মথকদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। আন্দুলবাড়িয়া বাজারের বিশিষ্ট ছিট-কাপড় ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান ওরফে লালু বিশ্বাস বলছেন তিনি গত সোমবার রাত ৯টার দিকে দোকান বন্ধ করে আন্দুলবাড়িয়া-অনন্তপুর সড়ক পথ দিয়ে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে অনন্তপুর কাজি সিরাজের নবর্নিমিত আর রহমান মসজিদের নিকট পৌঁছুলে পেছন দিক থেকে কয়েকজন যুবক তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। চোরাগুপ্ত হামলায় তিনি রক্তাক্তভাবে আহত হন।

উভয়পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তোজনা দেখা দিলে খবর পেয়ে শাহাপুর ক্যাম্প টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। সূত্র জানায়, গ্রামের জামে মসজিদের নেতৃত্ব দেয়াকে কেন্দ্র করে বিশ্বাস ও পীর গ্রুপ সর্মথকদের মাঝে আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবত মত-বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধকে কেন্দ্রে করে উভয়পক্ষ কয়েকবার মুখোমখি অবস্থান নেয়। নির্ভরযোগ্য সূত্রটি জানায়, এ ঘটনা তারই বহির্প্রকাশ বলে দাবি করছেন। এ ঘটনার পর উভয়পক্ষের মধ্যে চাপা উত্তোজনা থাকলেও গ্রামে গতকাল থমথমে অবস্থা বিরাজ করতে দেখা গেছে। এ ব্যাপারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মনিরুজ্জামান ওরফে লালু বিশ্বাস গতকাল মঙ্গলবার বাদীহয়ে জীবননগর থানায় ৬ জন হামলাকারী বিরুদ্ধে এজাহর দাখিল করেছেন। জীবননগর থানার অফিসার ইনর্চাজ হুমায়ূন কবীর এ প্রতিবেদকে বলেন, অভিযোগটি আমলে নিয়ে নিয়মিত মামলা হিসেবে এজাহরটি নথিভুক্ত করা হয়েছে।

Leave a comment