বড়শলুয়া থেকে দামুড়হুদার ছুটিপুর ফেরার পথে চুয়াডাঙ্গা বাসটার্মিনালের অদূরে বিপত্তি
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা বাসটার্মিনালের অদূরে পাউয়ারটিলার দুর্ঘটনায় আরোহী আব্দুল কুদ্দুস (৩৫) নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পাউয়ারটিলার চালক জাহিদ (২৫) গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চালক জাহিদ সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ছিলেন।
নিহত আব্দুল কুদ্দুস দামুড়হুদা উপজেলার ছুটিপুর গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি পোতারপাড়ার জাহিদের পাউয়ারটিলারযোগে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের বড়শলুয়া থেকে ধনচেগাছ নিয়ে ফিরছিলেন। তামাক জ্বালানোর জন্য জ্বালানি হিসেবে ধনচেগাছ নিয়ে ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রাণ হারালেন তিনি। চালক জাহিদ দামুড়হুদা পোতারপাড়ার রবিউল ইসলামের ছেলে। তিনি মৃত্যুর সাতে পাঞ্জা লড়ছেন।
জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কের চুয়াডাঙ্গা বাস টার্মিনালের অদূরে পাউয়ারটিলারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে পড়ে। পাউয়ারটিলারের চাপায় বুকে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন আরোহী আব্দুল কুদ্দুস ও চালক জাহিদ। দুজনকেই স্থানীয়রা উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। চিকিৎসার ঘণ্টা দুয়েকের মাথায় মারা যান আব্দুল কুদ্দুস। খবর পেয়ে স্ত্রী, মা ও শিশু সন্তানসহ নিকটাত্মীয়স্বজন হাসপাতালে ছুটে আসেন। বুকফাঁটা আহাজারিতে হাসপাতালের পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে। গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আব্দুল কুদ্দুসের মৃতদেহ হাসপাতালেই রাখা ছিলো। আহত জাহিদকে হাসপাতালে রেখেই চিকিৎসা চলছিলো।
নিহত কুদ্দুস ৫ ভাই দু বোনের মধ্যে ৪র্থ ছিলেন। তার রয়েছে এক ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়ে ঈশিতা ৮ম শ্রেণির ছাত্রী এবং ছেলে ইয়ামিন ৫ম শ্রেণির ছাত্র। পিতার অকাল মৃত্যুতে অবুঝ ছেলের বুকফাঁটা আহাজারি দেখে অনেকেই নিজের চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। অশ্রু ঝরিয়ে অনেকেই বলেছেন, এ ধরনের দুর্ঘটনা কী কোনোদিনও বন্ধ হবে না? আর কতোজন মরলে দুর্ঘটনারোধে পুলিশ কার্যকর পদক্ষেপ নেবে?