কালীগঞ্জ প্রতিনিধি: রাজনৈতিক কোন্দল, আধিপত্য বিস্তার, সামাজিক বিরোধ, প্রতিপক্ষের হামলা ও জমাজমির বিরোধের জের ধরে ঝিনাইদহে বিদায়ী বছর ২০১৪ সালে ৭০টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ গত ২৮ ডিসেম্বর একই দিনে তিনটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বছর শেষে প্রশাসনকে ভাবিয়ে তোলে। একই দিনে জেলায় তিন তিনটি হত্যার পর এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ প্রশাসনসূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে জেলার ৬ থানায় ৭০টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গত জানুয়ারি মাস থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ১৫টি, শৈলকুপায় ১৯টি, কালীগঞ্জে ১২টি, হরিণাকুণ্ডুতে ১০টি, কোটচাঁদপুরে ৯টি ও মহেশপুর উপজেলায় পাঁচটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বছরজুড়েই একের পর এক খুনের ঘটনায় আতঙ্কিত ছিলো ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। তবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দু-একজন গ্রেফতার হলেও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় মূল হোতারা। পুলিশ বলছে- আধিপত্য বিস্তার, রাজনৈতিক কোন্দল, প্রতিপক্ষের হামলা, জমাজমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেই এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
সর্বশেষ গত ২৮ ডিসেম্বর একই দিনে তিনটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে কোটচাঁদপুরে স্কুলশিক্ষক জনাব আলীকে গুলি করে খুন, শৈলকুপায় আওয়ামী লীগের দু গ্রুপের সংঘর্ষে ভ্যানচালক আব্দুল কুদ্দুসকে কুপিয়ে খুন এবং হরিণাকুণ্ডুতে বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার (এসপি) আলতাফ হোসেন জানান, বিগত বছরগুলোর তুলনায় ঝিনাইদহের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বেশ ভালো ছিলো। যে কয়টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তার অধিকাংশই আধিপত্য বিস্তার ও সামাজিক কোন্দালের কারণে। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
নতুন বছর এসে বিদায় জানায় পুরোনো বছরকে। পুরোনো বছর রেখে যায় ভালো-মন্দের কিছু স্মৃতি। গত ২০১৪ সালে ১ আগস্ট ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের বারোবাজারে ট্রেন-বাস সংঘর্ষের ১৪ জন নিহতের ঘটনাটি ছিলো আলোচিত বিষয়। এ বিস্মৃতিকে এলাকার মানুষ কখনও ভুলতে পারবে না।