বিয়ের দাবিতে পরকীয়া প্রেমিকের বাড়িতে দিনভর অনশন : আত্মহত্যার চেষ্টা

দামুড়হুদা দশমীপাড়ার যুবক সবুজের সাথে কার্পাসডাঙ্গা কলেজ শিক্ষিকা নাজমার পরকীয়া প্রেম

 

স্টাফ রিপোর্টার: দামুড়হুদা উপজেলা শহরের দশমীপাড়ার সবুজ (২৮) নামের এক যুবকের সাথে পরকীয়া প্রেম করেছে একই পাড়ায় ভাড়ায় বসবাসরত কার্পাসডাঙ্গা কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষিকা নাজমা আক্তার বানু (৩৬)। দীর্ঘ ৮ মাস পরকীয়া প্রেমের পর গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে বিয়ের দাবিতে ছাত্রদল নেতা সবুজের বাড়িতে অনশন করে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অনশনের একপর্যায়ে সবুজের পরিবারের লোকজন ওই শিক্ষিকাকে টেনেহেঁচড়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির হয়ে বিচার দাবি করেন শিক্ষিকা নাজমা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাৎক্ষণিকভাবে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসিকে ডেকে নেন এবং আইনগত ব্যবস্থার আশ্বাস দেন। সন্ধ্যার পর ওই শিক্ষিকা তার ভাড়ায় বাসায় ফিরে যান এবং রাত ১২টার দিকে সিঁড়িঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। এক সন্তানের জননী শিক্ষিকা নাজমা আক্তার বানু জয়রামপুর চৌধুরীপাড়ার সিঙ্গাপুর প্রবাসী সেলিমের স্ত্রী।

এলাকাবাসী জানায়, দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষিকা জয়রামপুর চৌধুরীপাড়ার সিঙ্গাপুর প্রবাসী সেলিমের স্ত্রী এক সন্তানের জননী নাজমা আক্তার বানু প্রায় বছর খানেক আগে দামুড়হুদা দশমীপাড়ার বাচ্চুর বাড়ি ভাড়া নিয়ে ৪ বছর বয়সী মেয়ে অথৈকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন। বসবাসের মাস তিনেক পর একই পাড়ার প্রতিবেশী মৃত আনছার মাস্টারের ছেলে সবুজের সাথে পরকীয়া প্রেম সম্পর্ক গড়ে তোলে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে ওই শিক্ষিকা বিয়ের দাবিতে সবুজের বাড়িতে ওঠে এবং অনশন শুরু করে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অনশনের এক পর্যায়ে সবুজের পরিবারের লোকজন ওই শিক্ষিকাকে বাড়ি থেকে জোর বের করে দেয়। এ ঘটনায় শিক্ষিকা নাজমা বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির হয়ে বিয়ের দাবি জানিয়ে বলে সবুজ আমাকে বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার দেহভোগ করেছে এবং আমাকে আর্থিকভাবেও ক্ষয়ক্ষতি করেছে। সুতরাং আমাকে ওই সবুজের সাথে বিয়ের ব্যবস্থা করতে হবে নইলে আমি আত্মহত্যা করবো। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদুর রহমান ও দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি কামরুজ্জামান তার অভিযোগ শোনেন এবং লিখিত অভিযোগ করা হলে আইনগত ব্যবস্থার আশ্বাস দেন। সন্ধ্যার পর ওই শিক্ষিকা তার ভাড়ায় বাসায় ফিরে যান এবং রাত ১২টার দিকে দোতালায় সিঁড়ি ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরিবারের লোকজন ঠিক পেয়ে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়।

এলাকাবাসী আরো জানায়, ওই মহিলার স্বভাব চরিত্র ভালো না। ইতঃপূর্বেও সে বেশ কয়েকবার বিভিন্ন জনের সাথে পরকীয়া প্রেম করে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি কামরুজ্জামান জানান, আমি ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ এলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।