প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় সারাদেশে গড় পাসের হার যখন ৯৭ দশমিক ৯২ তখন চুয়াডাঙ্গা জেলায় পাসের হার ৮৯ দশমিক ৮০ শতাংশ। দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে পাসের হারে সর্বনিম্ন। শতভাগ পাসের জেলা মুন্সিগঞ্জ। সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন, চুয়াডাঙ্গা জেলা পাসের হারে কেন পিছিয়ে পড়লো? অবশ্যই সংশ্লিষ্টদের খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
এবারের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস প্রসঙ্গ দেশ জুড়ে সমালোচনার ঝড় তোলে। একের পর এক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস যেমন দেশের শিক্ষানুরাগী মহলকে উদ্বিগ্ন করেছে, তেমনই শিশু শিক্ষার্থীদের মধ্যেও তার বিরূপ প্রভাব পড়েছে। কোনো পরীক্ষারই প্রশ্নপত্র ফাঁস কাম্য নয়। প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় শতভাগ পাস করানোর জন্য উত্তরপত্র তথা খাতা মূল্যায়নে শিক্ষকদের বিশেষ দিকনিদের্শনা দেয়া যেতেই পারে। তাই বলে প্রশ্নপত্র ফাঁসকে কোনোভাবেই হালকা করে দেখা উচিত নয়। প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণে শিশু শিক্ষার্থীদের মনে যে দাগ কাটে তার কুপ্রভাব জাতির ওপরই পড়ে।
প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা চালু করার পর অবশ্যই গ্রাম এবং নগরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার পরিবেশ গড়ে উঠেছে। শিক্ষার মান বৃদ্ধিই শুধু নয়, কোন বিদ্যালয়ে কেমন শিক্ষা দেয়া হচ্ছে তার মাপকাঠিও হয়ে উঠেছে সমাপনী পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় দেশের মধ্যে পাসের হারে চুয়াডাঙ্গা পিছিয়ে পড়েছে। জেলার কোন বিদ্যালয়ে পাসের হার কতো তাও এখন স্পষ্ট। বিদ্যালয়ভিত্তিক মূল্যায়ন করেই পাসের হার বৃদ্ধিতে শিক্ষকদের আন্তরিক করে তোলার বাস্তবমুখি পদক্ষেপ নেয়া দরকার।