ওসমানপুর–প্রাগপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় রণক্ষেত্র
স্টাফ রিপোর্টার: ত্রিভুজ প্রেমকে কেন্দ্র করে আলমডাঙ্গার ওসমানপুর প্রাগপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে। ওসমানপুর গ্রামের কয়েকজনের নেতৃত্বে গ্রামের অনেকে স্কুল ভাঙচুর করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে ফাঁড়ি ইনচার্জকেও লাঞ্ছিত করা হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। এ কারণে গতকাল শনিবার বিদ্যালয়ে জেএসসি টেস্ট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।
জানা গেছে, উপজেলার ওসমানপুর প্রাগপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে একই সাথে ওসমানপুরের এক ছাত্র ও প্রাগপুরের আরেক ছাত্র ভালোবাসে। কয়েকদিন আগে এ নিয়ে দু গ্রামের কতিপয় শিক্ষার্থীর মধ্যে গোলযোগের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি তাৎক্ষণিক মিটিয়ে দেয়া হলেও ভেতরে ভেতরে দু পক্ষেরই ক্ষোভ ছিলো। গতকাল শনিবার সকালে বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র প্রাগপুর গ্রামের আশানুর ও ওসমানপুর খন্দকারপাড়ার তুষার সিটে বসা নিয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে ওসমানপুর গ্রামের তুষারকে মারধর করা হয়। তুষার গ্রামে গিয়ে ঘটনাটি জানালে পূর্বক্ষোভের কারণে ওসমানপুর গ্রামের অনেকেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, ওসমানপুর গ্রামের ফুরকান ও আব্দুল গাফফারের নেতৃত্বে অনেকেই রাম-দা, লাঠিসোঁটা নিয়ে বিদ্যালয়ে আক্রমণ চালায়। তাদের সাথে আক্রমণে পার্শ্ববর্তী লক্ষ্মীপুর গ্রামের কতিপয় যুবক যোগ দেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে প্রাগপুর গ্রামের শিক্ষার্থীরা ক্লাসরুমে ঢুকে দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখে। ওসমানপুর গ্রামের হামলাকারীরা এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিদ্যালয় ভবনের ৮টি জানালাসহ ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে। এ সময় তারা প্রাগপুর গ্রামের বজলু নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে ওসমানপুর ফাঁড়ি পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে ফাঁড়ি ইনচার্জকেও লাঞ্ছিত করা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পুলিশের সহযোগিতায় প্রাগপুর গ্রামের শিক্ষার্থীদের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। প্রায় দিনব্যাপি ওই তাণ্ডব চালানো হয় বলে জানা গেছে। ফলে বিদ্যালয়ের চলমান জেএসসি টেস্ট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।
এদিকে গতকাল রাতে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত ওসমানপুর, প্রাগপুর ও লক্ষ্মীপুর গ্রামবাসীর মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। আজ রোববার বেলা ১১টায় এ বিষয়ে সালিস হওয়ার কথা।