স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার ফুরশেদপুর গ্রামের গরুব্যবসায়ী নাসির হত্যামামলার সন্দেহভাজন আসামি এলাকার চিহ্নিত মাদককারবারী একাটি মামলায় ১২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ও একাধিক মামলার আসামি আবু বাক্কাকে পুলিশ ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার করেছে। নাসির হত্যার সাথে বাক্কা জড়িত থাকতে পারে এমনি সন্দেহে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের ফুরশেদপুর গ্রামের আতর আলীর ছেলে এলাকার চিহ্নিত মাদককারবারী মাদক সম্রাট আবু বাক্কা ওরফে বাক্কাকে বেগমপুর ক্যাম্প পুলিশের এসআই শিকদার মনির হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আকন্দবাড়িয়া আবাসনের নিকট অভিযান চালিয়ে গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে গ্রেফতার করেছেন। এ সময় তার দেহ তল্লাশি করে গায়ে থাকা চাঁদরের ভেতর থেকে পুলিশ উদ্ধার করে ৬ বোতল ফেনসিডিল। পুলিশে বলেছে, বাক্কা ওই সময় ফেনসিডিল নিয়ে রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রাম থেকে আবাসনের সামনে দিয়ে ফুরশেদপুর গ্রামে ফিরছিলো।
এদিকে গত ২০ ডিসেম্বর শুক্রবার একই গ্রামের গরুব্যবসায়ী বাক্কার ছেলে গরু ব্যবসায়ী নাসির বিষপানে আত্মহত্যা করে। পরের দিন শনিবার সকালে তাদের পুকুরের ধার থেকে নাসিরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুকুর পাড়ে নাসিরের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে নাসিরের পরিবার এবং গ্রামবাসী এটাকে বিষপানে আত্মহত্যা হতে পারে না বলে মন্তব্য করে। তখন থেকে সন্দেহের তীর ওঠে নাসিরের ছোট স্ত্রী বুলুর মামা ফেনসি চোরাকারবারী বাক্কার দিকে। ওই সময় বাক্কা প্রভাবশালী এবং গ্যাং গ্রুপের সক্রীয় সদস্য হওয়ায় ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি। নাসিরের আত্মহত্যার দিন যতোই গড়াতে থাকে গ্রামে কানাঘোষা জোরালো হতে থাকে।
উল্লেখ্য, বাক্কা ২০০৭ সালের ফেনসিডিলের একটি মামলায় ১২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। পরে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে আবারও ফিরে যায় তার ফেনসিডিল চোরাকাবারীতে। পুলিশ বলেছে, বাক্কার নামে একাধিক মামলা রয়েছে। নাসির হত্যাকাণ্ডের সাথে তার সম্পৃক্ত থাকতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। গতকালই গ্রেফতারকৃত বাক্কাকে ফেনসিডিলসহ আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।