ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার স্থানান্তর হবে কেরানীগঞ্জে

চুয়াডাঙ্গাসহ সারা দেশে জাতীয় কারা সপ্তাহ উদ্বোধন : প্রধানমন্ত্রী বললেন

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গাসহ সারা দেশে জাতীয় কারা সপ্তাহ উদ্বোধন করা হয়েছে। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় কারা সপ্তাহ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। চুয়াডাঙ্গা জেলা কাগারে কারা সপ্তাহ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসাইন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী জুনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে স্থানান্তর করা হবে। কারারক্ষীরা কেউ মাদক ব্যবসা, জঙ্গি ও সন্ত্রাসের সাথে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল মঙ্গলবার গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় কারাসপ্তা-২০১৪’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, বন্দীদের সুশৃঙ্খলভাবে নিরাপদ আটক ও তাদের প্রতি মানবিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে কারারক্ষীদের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। তিনি বলেন, অপরাধীদের নিরাপদে আটক রাখার মাধ্যমে সমাজে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অটুট রাখতে করারক্ষীগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাপকে ঘৃণা করো, পাপীকে নয় এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আমরা কারা প্রশাসন পরিচালনা করছি। তাই আমাদের সরকার সবসময় কারাগারের পরিবেশ উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। কারা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যথোপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য রাজশাহীতে কারা প্রশিক্ষণ একাডেমী এবং ঢাকায় একটি কারা স্টাফ কলেজ স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়াও দেশ ও জাতির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জঙ্গি এবং শীর্ষ সন্ত্রাসীরা যাতে কারাগারের ভেতর থেকে জঙ্গি তৎপরতা বা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে না পারে সে লক্ষ্যে কারা নিরাপত্তা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কারা সপ্তার উদ্বোধন করতে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

চুয়াডাঙ্গা কারা সপ্তাহ ২০১৪ উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় কারা সপ্তার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত জেলার সোহেল রানা বিশ্বাস, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দা নাফিজ সুলতানা, পিপি অ্যাড. শামসুজ্জোহা, কারা সহকারী মিজানুল হক, ফার্মাসিস্ট তোতা মিয়া প্রমুখ। ২৩ থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্মসূচির মধ্যে আছে মিলাদ মাহফিল, কারামেলা, রক্তদান, বন্দীদের বিশেষ দরবার, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রীতিভোজ ইত্যাদি।