ট্রাক্টর চালক ও আরোহী গুরুতর জখমসহ আহত ৫ : চুর্ণ বিচূর্ণ বাস ও ট্রাক্টর

চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের চন্দ্রাবতী ইঁদারার অদূরে আলমসাধু সামনে পড়ায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা

 

স্টাফ রিপোর্টার: বাস, ট্রাক্টর ও আলমসাধু দুর্ঘটনায় ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছে। চূর্ণ হয়ে গেছে ট্রাক্টর ও বাস। আহতদের মধ্যে একজনের শরীর থেকে একটি পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। মারা গেছে আলমসাধুতে থাকা একটি গরু। গতকাল সোমবার বিকেল ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের হাজরাহাটি মোড়ের অদূরবর্তী চন্দ্রাবতী ইঁদারার নিকট এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, ট্রাক্টরটি অতিক্রমের সময় বাসের সামনে পড়ে আলমসাধু। এ সময় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারালে ট্রাক্টরের সাথে ধাক্কা মেরে রাস্তার পাশের গাছে ধাক্কায় চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে খাদে পড়ে। দুর্ঘটনা কবলিত বাসে যাত্রী না থাকায় হতাহতের সংখ্যা কমেছে।

DSC05634

দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে একজন ট্রাক্টরচালক ও ট্রাক্টর আরোহী লেবার। তিনজন আলমসাধু আরোহী। এদের মধ্যে ট্রাক্টরচালক দামুড়হুদা গুলশানপাড়ার ফকির মোহাম্মদ (৩২)। তিনি মুনসুর আলীর ছেলে। তার বাম পা ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। ট্রাক্টর আরোহী শ্রমিক ইয়াছিনের (৪০) বাম পা শরীর থেকে বিছিন্ন হয়ে গেছে। তিনি দামুড়হুদা কেশবপুরের শামসুল আলমের ছেলে। আলমসাধু যাত্রী গরুব্যবসায়ী বাক্কা (৪০) বুকে গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি আলমডাঙ্গার পারকৃষ্ণপুরের রমজান আলীর ছেলে। অপর আহত দুজন হলেন, আলমডাঙ্গার উদয়পুরের আফাজ উদ্দীনের ছেলে ফজলু ও রংপুরের মিনারুল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমান। এরা দুজন আলমসাধুযোগে দামুড়হুদার ডুগডুগি হাট থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। মারা যাওয়া গরুটি মিজানুর হাট থেকে কেনেন বলে জানা গেছে।

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, চন্দ্রাবতি ইঁদারার নিকট ট্রাক্টরটি অতিক্রমের সময় বাসটির সামনে পড়ে আলমসাধু। আলমসাধুর সাথে সংঘর্ষ এড়াতে বাসচালক বামে চাপলে ট্রাক্টরের বড় চাকায় ধাক্কা লাগে। বাস ও ট্রাক্টরচালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের গাছের সাথে ধাক্কা মারে। আলমসাধু চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার অপরপ্রান্তের খাদে নামিয়ে দেয় আলমসাধু। উল্টে পড়ে আলমসাধুতে থাকা গরুটি মারা যায়। আহত হন গরু ব্যবসায়ীসহ তিন আরোহী। ট্রাক্টর চালক ও শ্রমিক গুরুতর জখম হন। বাসের কেউ আহত হয়েছে কি-না তা অবশ্য নিশ্চিত করে জানা যায়নি। বাসের হেলপার আহত হয়েছে বলে জানা গেলেও তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত করে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

ভয়াবহ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে আহতদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়। শ্রমিক ইয়াছিন আলীর বাম পা’টি শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়। ট্রাক্টর চালকেরও বাম পা ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। তার পা’টিও কেটে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হতে পারে। কর্তব্যরত চিকিৎসক এরকমই মন্তব্য করে দুজনকেই দ্রুত ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। গতকাল শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুঘটনা কবলিত বাস (ঢাকা মেট্রো-জ ১১- ০৬৮৭) ও ট্রাক্টরটি ঘটনাস্থলেই পড়ে ছিলো। ট্রাক্টরটি দামুড়হুদার আনিসুর রহমানের বলে জানা গেছে। আলমডাঙ্গার পুঁটিমারীতে মাটি বহনের কাজ শেষে দামুড়হুদায় ফিরছিলো। আর বাসটি কোথা থেকে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশে ছুটছিলো তা অবশ্য নিশ্চিত করে জানা সম্ভব হয়নি। যাত্রী ছিলো না।