ফলোআপ : আলমডাঙ্গার এনায়েতপুরে যৌতুকের বলি : স্বামী সেনা হেফাজতে
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বাড়াদী ইউনিয়নের এনায়েতপুরের গৃহবধূ এক কন্যা সন্তানের জননী লাইলী আত্মহত্যা করেনি। তাকে নির্যাতন করে হত্যা করে বাড়ির পরিত্যক্ত ঘরের মইয়ের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিলো। গতকাল চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে পাওয়া ময়নাতদন্ত রিপোর্টে হত্যার আলামত মিলেছে বলে জানানো হয়েছে। লাইলীর ঘাতক স্বামী সেনাসদস্য শুকুর আলী যশোর সেনানিবাসে সেনা হেফাজতে রয়েছে। সেনা হেফাজত থেকে গ্রেফতার করে আলমডাঙ্গা থানায় নেয়ার জন্য সেনানিবাসে চিঠি দেয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশ সূত্রে জানিয়েছে।
জানা গেছে, গত ৪ বছর আগে আলমডাঙ্গার বাড়াদী ইউনিয়নের চরপাড়া এনায়েতপুরের আহসানের ছেলে সেনা সদস্য শুকুর আলীর (২৮) সাথে একই উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের পারদুর্গাপুর গ্রামের শামসুল জোয়ার্দ্দারের মেয়ে লাইলী সুলতানার (২৫) বিয়ে হয়। বছর ঘুরতেই তাদের কোলজুড়ে আসে ফুটফুটে কন্যাসন্তান সাদিকা সুলতানা উর্মি (২)। লাইলীর পরিবারের দাবি বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিকৃত মোটারসাইকেল দেয়া হয়। কিছুদিন পর লাইলীর ভাই সেই মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে গিয়ে মোটরসাইকেল হারিয়ে ফেলে। তার শ্বশুর ও শাশুড়ি মিলে লাইলীর ওপর মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। ঘটনার ৫ দিন আগে কুমিল্লা সেনানিবাস থেকে ছুটিতে বাড়িতে আসে লাইলীর স্বামী শুকুর আলী। গত ২৭ নভেম্বর রাত ৩টার দিকে সেনা সদস্য শুকুর আলী স্ত্রী লাইলীকে মারপিটের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বলে অভিযোগ ওঠে। অবস্থা বেগতিক দেখে সেনা সদস্য শুকুর আলীসহ লাইলীর শ্বশুর আহসান মল্লিক ও শাশুড়ি সাহেদা মিলে বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘরের মধ্যে গলাই ওড়না বেঁধে মইয়ের সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করতে থাকে। সকালে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশে খবর দেয়া হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালমর্গে পাঠায়। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় যশোর সেনানিবাস থেকে একটি টিম সেনা সদস্য শুকুর আলীকে আটক করে নিয়ে যায়। গতকাল চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে। পুলিশ জানায়, আসামিদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে।