মাথাভাঙ্গা মনিটর: আমাজানের বন নিয়ে রহস্যের শেষ নেই। সেই রহস্যেরই এক অংশ হুয়ারোয়ানি আদিবাসীরা। তাদের জীবনযাত্রার ওপর ভিত্তি করে প্রামাণ্য চিত্র নির্মাণ করতে আমাজান বনে গিয়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সারাহ বেগম হুয়োরানি আদিবাসী গোষ্ঠীরই একজনকে বিয়ে করেছিলেন বলে খবরে জানিয়েছে একটি সংবাদ মাধ্যম। নিজের থেকে ৩০ বছর বেশি বয়সী গিঙ্কটো নামের একজন উপজাতীয় যোদ্ধাকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। প্রামাণ্যচিত্রটি তৈরি করতে গিয়ে তাকে আদিবাসীদের আস্থা অর্জন করার জন্যই বিয়ে করতে হয়।
সারাহ জানান, এর আগে তাকে বিয়ের যোগ্যতাও অর্জন করতে হয়েছে। শিখতে হয়েছে কিভাবে বড় বড় ঘাস বুনতে হয় আর ব্লোপাইপ থেকে বিষাক্ত তীর ছুড়ে শিকার করতে হয়। হুয়ারোয়ানি গোত্রের ‘বউ’ হওয়ার ঘটনাটিও যে মজার ছিলো, তাও উঠে আসে এ প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতার বর্ণনায়। ২১ বছর বয়সে সারাহ বেগম ইকুয়েডরে আমাজান বনে বাসকারী হুয়ারোয়ানি আদিবাসীদের নিয়ে দু সপ্তার গবেষণার জন্য লণ্ডনে তার চাকরি ছেড়ে দেন। এ নারী চিত্র নির্মাতা দেখিয়েছেন কিভাবে বহুজাতিক তেল কোম্পানিগুলো আমাজানে বসবাসকারী আদিবাসীদের জীবন-জীবিকা ধ্বংস করছে। এর আগে ১৯৫০’র দশকে পাঁচজন মার্কিন মিশনারির একটি দল হুয়ারোয়ানি আদিবাসীদের মধ্যে প্রথম গিয়েছিলেন যাদের কেউই পরবর্তীতে প্রাণ নিয়ে ফিরে আসতে পারেননি। তবে সারাহ বেগম জানিয়েছেন, তাকে সম্মানের সাথে গ্রহণ করেছিলো আদিবাসী লোকজন।