আলমডাঙ্গা ব্যুরো: লিবিয়ায় পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা নিয়ে ওসমানপুর গ্রামের এক যুবককে আফ্রিকার দেশ সুদানে পাঠিয়ে বিপাকে ফেলার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের আদমব্যবসায়ী গোরাচাঁদের বিরুদ্ধে। সুদানে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় মুমূর্ষু অবস্থায় ওই যুবক বাড়ি ফিরে এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গতপরশু রাতে গ্রামে এ সংক্রান্ত সালিসের রায় না মেনে নিয়ে আদমব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে উল্টো হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার ওসমানপুর গ্রামের মোতালেব হাইতের ছেলে আদমব্যবসায়ী গোরাচাঁদ লিবিয়ায় পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে একই গ্রামের সুমোর শেখের নিকট থেকে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিদেশ না পাঠিয়ে পালিয়ে বেড়াতো। এরই এক পর্যায়ে অনেক দেনদরবার করে প্রায় পৌনে দু মাস আগে সালামকে বিদেশ পাঠানো হয়। তবে লিবিয়ায় না, আফ্রিকার দেশ সুদানে। সালামের পরিবার জানিয়েছে, সুদানের এক পর্বতের পাদদেশে মাটির ঘরে সালামসহ ছয় যুবককে রাখা হয়েছিলো। কোনো কাজ খুঁজে না পেয়ে অনাহারে পড়ে থাকতো। এক পর্যায়ে ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হন। তিনি সুদানে কর্মরত বাংলাদেশি সেনাবাহিনীর নিকট সাহায্য চান। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় বাড়িতে ফোন করে বিপদের কথা জানায়। বিপদের কথা জেনে বাড়ি থেকে সেনাবাহিনীর নিকট ৬০ হাজার টাকা পাঠালে সালাম অসুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরতে পারে। গত কয়েকদিন আগে তিনি বাড়ি ফিরে হারদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। এদিকে এ ঘটনা জানতে পেরে আদমব্যবসায়ী গোরাচাঁদের প্রতারণার বিষয়ে আব্দুস সালামের আত্মীয়স্বজন গ্রামে এক সালিসসভার আয়োজন করে। সাভায় সিদ্ধান্ত হয় গোরাচাঁদকে প্রতারণা করে সালামের কাছ থেকে নেয়া সাড়ে তিন লাখ টাকা ফেরত দিতে হবে। বিচারের সিদ্ধান্ত গোরাচাঁদ মেনে নেয়নি। সে আস্ফালন করে বলেছে, কখনোই তিনি টাকা দেবেন না। কেউ তার নিকট থেকে টাকা আদায় করে দিতে পারবেন না।