দৌলতপুরে প্রতিবন্ধী বাছাইয়ের টাকা আত্বসাতের অভিযোগ

 

দৌলতপুর প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিসারের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী শনাক্তকরণ জরিপ কর্মসূচির আওতায় প্রতিবন্ধীদের যাতয়াত খরচ ও ইউপি চেয়ারম্যানদের সম্মানি বাবদ দু লাখ ৪৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, স্মারক নং- ৪১.০১.৫০৩৯.০০০.০২.০০২.১৪-, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে প্রতিবন্ধী শনাক্তকরণ জরিপের কাজ শুরু হয়। উপজেলা সমাজসেবা অফিসার বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে জরিপ কাজ পরিচালনা করেন। এ জরিপ ইউনিয়নের কার্যালয় ও ইউনিয়ন সদস্যদের বাড়ীতে অনুষ্ঠিত হয়। সংস্থার সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক/নির্বাহী পরিচালকগণকে প্রতিবন্ধীদের যাতয়াত খরচ বাবদ প্রাগপুর ইউনিয়নে প্রতিবন্ধি ফেডারেশনের পরিচালক মো. ছামাদুল ইসলামের মাধ্যমে ১২ হাজার ৯৪৪ টাকা, মথুরাপুর ইউনিয়নে রত্নামুখি প্রতিবন্ধী সংস্থার মো. আব্দুল আজিজকে ১৫ লাভ ৮৯০ টাকা, ফিলিপনগর ও মরিচা ইউনিয়নের আলো সেচ্ছা সেবী সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ফিরোজ আহাম্মেদকে যথাক্রমে ১৬ হাজার টাকা ও ৯ হাজার ৩৪২ টাকা, রামকৃষ্ণপুর ও আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক মমতাজ আরা বেগমকে ১০ হাজার ২০৫ টাকা ও ১১ হাজার ৬৭৬ টাকা, চিলমারি ইউনিয়নের সেতু টি অ্যান্ডটি সংস্থার মো. আ. কাদেরকে ৮ হাজার ৫৩৫ টাকা, হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সবার সাথে বসবো প্রতিবন্ধী সংস্থার মো. আব্দুল হান্নানকে ১৭ হাজার ১২৪ টাকা, পিয়ারপুর ও রিফায়েতপুর ইউনিয়নে আঁধার থেকে আলো প্রতিবন্ধী সংস্থার মো. হাবিবুর রহমানকে ১৫ হাজার ৬৩ টাকা ও ১২ হাজার ৭১২ টাকা, দৌলতপুর ইউনিয়নের সবার সাথে জীবন গড়বো সংস্থার মো. রূপচাঁদ আলীকে ২১ হাজার ২৪৭ টাকা, বোয়ালিয়া ইউনিয়নের সোনারতরী প্রতিবন্ধী সংস্থার মোছা. ফরিদা খাতুনকে ১৩ হাজার ২৯৩ টাকা, খলিশাকুণ্ডির সৌমিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মো. নজরুল ইসলামকে ১২ হাজার ৪০ টাকা, আড়িয়া ইউনিয়নের এমডিপি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মো. নজরুল ইসলামকে ১২ হাজার ৯২৯ টাকা প্রদান করা হয়।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, এ খাতে ১ লাখ ৮৯ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও দু-একটি ইউনিয়নের ১০/২০ জন ছাড়া অন্যান্য প্রতিবন্ধীদের যাতয়াতের জন্য কোনো টাকা দেয়া হয়নি। ওই সকল সংস্থার দায়িত্বর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বরাদ্দের সব টাকা তাদের দেয়া হয়নি। এছাড়া ১৪ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের জন্য বরাদ্দ দু হাজার করে ২৮ হাজার ও ১৪ জন ট্যাগ অফিসারের জন্য দু হাজার করে ২৮ হাজার টাকাসহ সর্বমোট দু লাখ ৪৫ হাজার টাকা উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা কেকেএম ফজলে রাব্বী আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে আরো জানা যায়, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকতা বিভিন্ন সংস্থার পরিচালকদের নাম মাত্র টাকা দিয়ে টাকা প্রদানের মাস্টাররোলে গ্রহীতার স্বাক্ষর করে নিয়েছেন। আবার কয়েকটি সংস্থার পরিচালক জানিয়েছেন, তারা এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। বেশ কয়েকটি সংস্থার অস্তিত্ব না থাকলেও ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এ বিষয়ে বেশ কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে সমাজ সেবা কর্মমর্তার কথা কাটাকাটি হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে সমাজসেবা অফিসার কেকেএম ফজলে রাব্বীর কাছে জানতে চাইলে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।