মেহেরপুরে গুটি ইউরিয়া ব্যবহার বিষয়ক কর্মশালায় বক্তারা

নারীর উপার্জন বৃদ্ধি পেলে ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে

 

মেহেরপুর অফিস: গ্রামের বেশির ভাগ পরিবারের সবজির চাহিদা মেটে বাড়ির আঙিনায় চাষকৃত সবজি থেকে। এক্ষেত্রে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাছাড়া বাড়িতে উৎপাদিত সবজি গুণগত পুষ্টিমান সমৃদ্ধ। নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে তাদের উপার্জন বাড়াতে হবে। তাই গুটি ইউরিয়া প্রয়োগের মধ্যদিয়ে সাশ্রয়ীভাবে সবজি উৎপাদন বৃদ্ধি করা গেলে নারীর ক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে। গতকাল বুধবার মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত আপি ওয়ালমার্ট কার্যক্রমের ওপর স্টেক হোল্ডার কর্মশালায় বক্তারা উপরোক্ত কথা বলেন।

প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালা উদ্বোধন করেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মাহমুদ হোসেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক চৈতন্য কুমার দাসের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইএফডিসি বাংলাদেশ আবাসিক প্রতিনিধি আপি ওয়ালমার্ট প্রকল্প সমন্বয়কারী ইশরাত জাহান। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাজেদুর রহমান খান, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল আমিন, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরুন কুমার মণ্ডল, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার একেএম কামরুজ্জামান, গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার মাজেদুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলা কৃষি অফিসার মোফাখখারুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শাহ, বিসিআইসি সার ডিলার সমিতির সভাপতি হাফিজুর রহমান, আপি ওয়ালমার্ট জেন্ডার স্পেশালিস্ট নাহিদা সুলতানা, মেহেরপুর জেলা ফিল্ড মনিটরিং অফিসার ফারহানা সুলতানাসহ কৃষি কর্মকর্তা, কৃষাণী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

ইশরাত জাহান তার বক্তব্যে বলেন, পর্যায়ক্রমে জেলার ৩টি উপজেলার ৪০ হাজার কৃষাণীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। গুটি ইউরিয়া প্রয়োগ প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে সাশ্রয়ী পদ্ধতিতে সবজি উৎপাদনে এগিয়ে যেতে সার্বিক সহযোগিতা দেয়া হবে।