চুয়াডাঙ্গা শ্রীমন্ত টাউন হল পেতে যাচ্ছে নতুন রূপ

পৌর মেয়র নকশা সামনে মেলে ধরে অর্থ সঙ্কুলানের ভাবনায় বিভোর

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা শ্রীমন্ত টাউন হল পেতে যাচ্ছে নতুন রূপ। নকশা প্রণয়ন সম্পন্ন। এখন ব্যয় সঙ্কুলানের উপায় খুঁজছেন পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন।

চুয়াডাঙ্গা শ্রীমন্ত টাউন হল কমিটি দীর্ঘদিনের পুরাতন জরাজীর্ণ হলটি ইতোমধ্যেই উন্নয়নের জন্য পৌরসভার হাতে তুলে দিয়েছে। হলটির উন্নয়নে দায়িত্ব পাওয়ার পর পৌর মেয়র শপিং মল, অডিটোরিয়ামসহ চারতলা বিশিষ্ট বিশাল অট্টালিকার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। এরই অংশ হিসেবে ‘চুয়াডাঙ্গা টাউন হল’ নির্মাণের নকশা প্রণয়নের জন্য বেশ কয়েকজন প্রকৌশলীকে দায়িত্ব দেন। আর্কিটেক্টের আঁকা নকশা পৌর মেয়রের হাতে এসেছে সম্প্রতি। তিনি নকশা হাতে পেয়ে এখন বাস্তবায়নের স্বপ্নে বিভোর।

চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন সেদিন সন্ধ্যায় নিজ কার্যালয়ে নকশাটি সামনে ধরে অপলক দৃষ্টিতে বসে। যেন গভীর ধ্যানে মগ্ন। সালাম দিয়ে চেয়ারে বসতেই তিনে ফিরে ফেলেন নিজেকে। কুশল বিনময়ের মাঝে নকশাটি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার উন্নয়ন নিয়েই ভাবছি। সড়ক ডিভাইডার হয়েছে। প্রায় প্রতিটি সড়কে, প্রতিটি মহল্লায় নির্মাণ করা হয়েছে পয়ঃনিষ্কাশন নালা তথা ড্রেন। সড়ক বাতিও শোভা পাচ্ছে শহরজুড়ে। পানির লাইনও সম্প্রসারিত হয়েছে। শহীদ আবুল কাশেম সড়কে থাকা লেবেল ক্রসিঙে একটি ওভার ব্রিজ নির্মাণের স্বপ্ন দু চোখজুড়ে। এরই মাঝে যুক্ত হয়েছে চুয়াডাঙ্গা টাউন হল। শ্রীমন্ত টাউন হলটির উন্নয়নের ভার যেহেতু পৌরসভাকে দেয়া হয়েছে, সেহেতু পৌরসভা আন্তরিকতার সাথেই ভাবছে। ইতোমধ্যে নকশা প্রণয়ন করা হয়েছে। এটা ওই টাউন হলেরই নকশা। দেখছি। বাস্তবায়নের পর দেখতে কেমন হবে।

নকশাটি মেলে ধরে পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার বললেন, বাস্তবায়নে দরকার কুড়ি কোটি টাকা। অতো টাকা পৌরসভা কীভাবে ব্যয় করবে তার পথ খুঁজছি আমরা। দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে হলেও তিনি অবশ্য আশাবাদ ব্যক্ত করে বললেন, হয়ে যাবে। যেহেতু হুইপ ছেলুন জোয়ার্দ্দার রয়েছেন আমাদের পাশে।