স্টাফ রিপোর্টার: গাজীপুরের হাইসিকিউরিটি কাশিমপুর কারাগারের অস্ত্রাগার থেকে খোয়া গেছে একটি চায়নিজ রাইফেল। কয়েক স্তরের নিরাপত্তাবেষ্টিত কারা অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র খোয়া যাওয়ার ঘটনায় গতকাল সোমবার প্রধান কারারক্ষীসহ চারজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এ ঘটনায় কারাগারের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি বজলুর রশিদকে প্রধান করে গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। এ কমিটিকে আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
কারাগারের অস্ত্রাগারে সংরক্ষিত অস্ত্র গণনার সময় গত রোববার একটি চায়নিজ রাইফেল খোয়া যাওয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে কঠোর গোপনীয়তার মধ্যদিয়ে শুরু হয় তদন্ত ও চিঠি চালাচালি। হাইসিকিউরিটি কারাগার থেকে চায়নিজ রাইফেল খোয়া যাওয়ার পর সারাদেশের সব কারা অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র বের করার নিয়ম সঠিকভাবে মেনে চলার নির্দেশ দেয়া হয়। এছাড়া অস্ত্রাগারের অস্ত্র গুনে কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করতে জারি করা হয়েছে নির্দেশনা।
সংশ্লিষ্ট একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র এসব তথ্য জানায়। গত ফেব্রুয়ারিতে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ময়মনসিংহে যাওয়ার পথে প্রিজনভ্যানে থাকা জেএমবির তিন দুঃসাহসিক জঙ্গি ছিনিয়ে নেয়া হয়। ওই ঘটনার পর অভিযোগ ওঠে, কারাগারে বসে ও আদালতে আনা-নেয়ার সময় জঙ্গিরা তাদের সঙ্গীদের সাথে যোগসাজশ করে নানা পরিকল্পনা করছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গতকাল রাতে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইফতেখার উদ্দিন জানান, অস্ত্রাগার থেকে চায়নিজ রাইফেল খোয়া যাওয়ার ঘটনায় প্রাথমিক ব্যবস্থা হিসেবে চারজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার জন্য কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, কাশিমপুরের হাইসিকিউরিটি কারাগারের অস্ত্রাগারের নিরাপত্তার প্রধান সমন্বয়কারী প্রধান কারারক্ষী। তার তত্ত্বাবধানে অনেক কারারক্ষী দায়িত্ব পালন করেন। গত ২১ নভেম্বর জাতীয় প্যারেড অনুষ্ঠান উপলক্ষে হাইসিকিউরিটি কারাগার থেকে বিভিন্ন ধরনের ৫০টি অস্ত্র বের হয়। প্যারেড অনুষ্ঠানে কারাগারের একটি কন্টিনজেন্ট অংশ নেয়।
ওই দিন কারাগার থেকে বের হওয়া অস্ত্রের মধ্যে কেউ একটি চায়নিজ রাইফেল সরিয়েছে কি-না, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া পূর্বপরিকল্পিতভাবে কোনো জঙ্গি বা সন্ত্রাসী সংগঠনের কর্মীদের হাতে কারাগারের কোনো অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারী বৈধ অস্ত্র তুলে দিয়েছে কি-না, সেটাও গুরুত্ব সহকারে তদন্ত হচ্ছে।