সোহেল-আফ্রিদির ব্যাটে পাকিস্তানের জয়

মাথাভাঙ্গা মনিটর: শতক করে দলকে ভালো অবস্থানেই পৌঁছে দিয়েছিলেন রস টেইলর। পরে বোলারদের দৃঢ়তায় জেতার মতো অবস্থানেই চলে গিয়েছিলো নিউজিল্যান্ড। কিন্তু তাদের হতাশ করে দলকে দারুণ এক জয় এনে দিয়েছেন হারিস সোহেল ও শহিদ আফ্রিদি। প্রথম ওয়ানডেতে সোহেল ও আফ্রিদির অর্ধশতকে নিউজিল্যান্ডকে ৩ উইকেটে হারায় পাকিস্তান। এ জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে তারা। গতকাল সোমবার দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ২৪৬ রান করে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ৩ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫২ রানে প্রথম চার উইকেট হারিয়ে ভীষণ বিপদে পড়ে পাকিস্তান। তবে অধিনায়ক মিসবাহ উল হকের সাথে ৩৬ ও সরফরাজ আহমেদের সাথে ৩৮ রানের দুটি জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়েন সোহেল।
এরপর আফ্রিদির ১১০ রানের চমৎকার জুটি উপহার দিয়ে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান সোহেল। অর্ধশতকে পৌঁছানোর পর আফ্রিদি (৬১) রান আউটে ভাঙে ১০৫ বল স্থায়ী জুটি। তার ৫১ বলের ইনিংসটি গড়া ৭টি চার ও ১টি ছক্কায়।
আফ্রিদি ফিরে গেলেও জয় পেতে কোনো সমস্যা হয়নি পাকিস্তানের। ওয়াহাব রিয়াজকে নিয়ে বাকি কাজটুকু সহজেই সারেন সোহেল। ৮৫ রানে অপরাজিত থাকা এ মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানের ১০৯ বলের ইনিংসটি ৫টি চার ও ১টি ছক্কা সমৃদ্ধ।
নিউজিল্যান্ডের ড্যানিয়েল ভেটরি ও জেমস নিশাম দুটি করে উইকেট নেন। এর আগে ১৫তম ওভারে ৬৩ রানের মধ্যে প্রথম তিন ব্যাটসম্যানের বিদায়ে শুরুটা ভালো হয়নি নিউজিল্যান্ডের। দশম ওভার শেষেই ক্রিজে আসা টেইলরের দৃঢ়তায় শুরুর ধাক্কা সামলে আড়াইশর কাছাকাছি যায় নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ। এক প্রান্তে টেইলর অবিচল থাকলেও অন্য প্রান্ত থেকে খুব একটা সহায়তা পাচ্ছিলেন না তিনি। এক সময়ে দলটির সংগ্রহ ছিলো ৫ উইকেটে ১১১ রান। সেখান থেকে লুক রনকির সাথে ৪৪, ড্যানিয়েল ভেটরির সাথে ৫৮ ও নাথান ম্যাককালামের সাথে ৩৩ রানের তিনটি ছোট্ট কিন্তু কার্যকর জুটি উপহার দেন টেইলর।
টানা তৃতীয় ও সব মিলিয়ে একাদশ শতক পাওয়া টেইলর অপরাজিত থাকেন ১০৫ রানে। বছরের শুরুতে ভারতের বিপক্ষে টানা দুই শতক পেয়েছিলেন তিনি। জানুয়ারির সেই দুই ম্যাচের পর এই প্রথম ওয়ানডে খেলেন তিনি। তার ১৩৫ বলের ইনিংসটি ৯টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজানো। পাকিস্তানের মোহাম্মদ ইরফান ৩ উইকেট নেন ৫৭ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: নিউজিল্যান্ড: ৫০ ওভারে ২৪৬/৭ (ডেভচিচ ২৬, ব্রাউনলি ১৪, উইলিয়ামসন ১০, টেইলর ১০৫*, ল্যাথাম ১৩, নিশাম ১, রনকি ২৩, ভেটরি ২৭, ম্যাককালাম ১৩*; ইরফান ৩/৫৭, ওয়াহাব ২/৫১, আফ্রিদি ১/৩৬)
পাকিস্তান: ৪৯.৩ ওভারে ২৫০/৭ (হাফিজ ৬, শেহজাদ ২৮, শফিক ৫, ইউনুস ৪, সোহেল ৮৫*, মিসবাহ ১৩, সরফরাজ ২৬, আফ্রিদি ৬১, ওয়াহাব ৯*; ভেটরি ২/৪০, নিশাম ২/৬২, ম্যাককালাম ১/৩৫, মিলস ১/৫৪)।