স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে কাবিখা প্রকল্পে বরাদ্দ ১৩ মেট্টিক টন খাদ্যশস্য আত্মসাতের অভিযোগের তদন্তে একটি প্রতিনিধি দল গতকাল বুধবার দুপুরে ফুলবাড়ি পরিদর্শন করেছে। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন- চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এনডিসি সহকারী কমিশনার মো. মোকলেছুর রহমান। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দেন দামুড়হুদার ফুলবাড়ি গ্রামের আব্দুল হাকিম।
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ফুলবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হাকিম গত ৭ জুলাই লিখিত অভিযাগে জানান, এ ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল কাশেম নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দ নয়-ছয় করে আসছেন। ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে কাবিখার আওতায় ফুলবাড়ি গ্রামের কাজেম আলীর বাড়ি থেকে মুনসুর গাইনের বাড়ি পর্যন্ত মাটি দ্বারা রাস্তা মেরামতের নামে ১৩ মেট্টিক টন চাল বরাদ্দ পেয়েছেন। নামমাত্র কাজ করে ওই ইউপি সদস্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজশ করে কাবিখা প্রকল্পের ১৩ মেট্টিক টন খাদ্যশস্য তুলে বিক্রি করে সরকারি হিসেবে (প্রতি টন ৩৩ হাজার ৮০৫ টকা) চার লাখ ৩৯ হাজার ৪৬৫ টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। বিষয়টি সরেজমিন তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে পরিদর্শনে যান সহকারী কমিশনার মো. মোকলেছুর রহমান। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সহকারী কমিশনার মো. মোকলেছুর রহমান জানান, ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শন ও ১৫/১৬ এলাকাবাসীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পের কাজ কম হয়েছে। তবে ইউপি সদস্য আবুল কাশেম বাকি কাজ সম্পন্ন করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।